২১ নভেম্বর, ২০১৯ ১২:৪৮

‘ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ই-গভর্নমেন্ট মাস্টার প্ল্যান’ শীর্ষক কর্মশালা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

‘ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ই-গভর্নমেন্ট মাস্টার প্ল্যান’ শীর্ষক কর্মশালা

‘ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ই-গভর্নমেন্ট মাস্টার প্ল্যান’র ওপর ২০ নভেম্বর বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ই-গভর্নমেন্ট মাস্টার প্ল্যান রিপোর্টের সুপারিশ এবং বাস্তবায়ন কৌশল সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

চলতি বছরের অক্টোবর মাসে ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় আনুষ্ঠানিকভাবে ই-গভর্নমেন্ট মাস্টার প্ল্যান রিপোর্ট প্রকাশ করেন।

অদ্যকর কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম। বিসিসির নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কোইকার কান্ট্রি ডিরেক্টর জো হনে-জু, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মো. মামুন-আল-রশীদ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ই-গভর্নমেন্ট মাস্টার প্ল্যান এর প্রকল্প পরিচালক মো. মনির হোসেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জিয়াউল আলম বলেন, দেশে শক্তিশালী একটি সরকারি ই-গভর্নমেন্ট ইকো-সিস্টেম প্রতিষ্ঠায় ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ই-গভর্নমেন্ট মাস্টার প্ল্যান অত্যন্ত কার্যকরী এবং টেকসই ভূমিকা পালন করবে। এটি সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/ বিভাগ/ সংস্থার আইসিটি সম্পর্কিত উদ্যোগ গ্রহণ ও রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট জরিপ-২০১৮ অনুসারে বিশ্বের ১৯৩ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৫ তম। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ২০২১ সালের মধে জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট র‌্যাংকিং এ পঞ্চাশে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ  করেছেন।

উল্লখ্যে, ২০০৩ সালে মাত্র ৪৫টি দেশে ওয়ান স্টর্প প্লাটর্ফম ছিল এবং ২০১৬ সালে এটি ৯০ এ উন্নীত হয়। তিনি বলেন, বর্তমানে ৪০% এর বেশি সেবা ডিজিটাল পদ্ধতিতে চালু রয়েছে। ২০২১ সাল নাগাদ ৯০% সেবা অনলাইনে আনার কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সভাপতির ভাষণে পার্থপ্রতিম দেব বলেন, সরকারের লক্ষ্য তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে নাগরিক সেবাসমূহ জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া। ই-গভর্নমেন্ট মাস্টার প্ল্যান পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন হলে সকল নাগরিক সেবা, সরকারি ব্যবস্থাপনা ও পদ্ধতি অত্যন্ত ফলপ্রসু হবে। 

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর