প্রযুক্তি এগিয়ে যাচ্ছে, তার সাথে পাল্লা দিয়ে ধরণ পাল্টাচ্ছে বিশ্বজুড়ে বাজার পদ্ধতির। এখন ঘরে বসেই বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং সামাজিক মাধ্যমের কল্যাণে ঘরে বসেই পেতে পারেন আপনার পছন্দের, প্রয়োজনীয় এবং মানসম্পন্ন সব পণ্য।
'ফ্যাশন প্যারাডাইস বাই জেনি' এমন একটি ফেসবুক পেইজ, যার মাধ্যমে বাংলাদেশি নারীরা ঘরে বসেই আকর্ষণীয় ডিজাইন এবং হাতের কাজের বুটিক, এমব্রয়ডারী কিংবা কারচুপির কাজে করা থ্রিপিস, কুর্তি কিংবা শাড়ি পেতে পারেন সুলভ এবং নিশ্চিন্তভাবে। দেশি-বিদেশী কাপড়ের বাহারী সব ডিজাইন নিয়েই গড়ে উঠছে ফ্যাশন 'প্যারাডাইস বাই জেনি।'
সামিনা আফরিন চৌধুরী এবং সোনিয়া আফরিন চৌধুরী জেনি, দুজনেই বিবিএ শেষ করে চাকরির পেছনে না ছুটে তিলে তিলে গড়ে তোলেন একটি বুটিক হাউজ। কিন্তু এই বুটিক হাউজ একটি দোকানে নিয়ন্ত্রিত কিংবা প্রদর্শিত না হয়ে সামাজিক মাধ্যমে পেইজের মাধ্যমে শুরু হয়। প্রথম অবস্থায় ঢাকার বিভিন্ন এমব্রয়ডারী দোকানের কারিগর দিয়ে অর্ডারের মাধ্যমে যাত্রা। কিছু জামানো টাকা আর ঢাকার সর্বত্র ছুটে ছুটে বিভিন্ন ডিজাইনের বুটিকের থ্রিপিস আর কুর্তি বানিয়ে ছবি তুলে ফেসবুকে পোষ্ট হবার পর কিছুদিন অপেক্ষা।
যাত্রাবাড়ি থেকে এক ৪০ বছরের এক নারী হঠাৎ একদিন ১৭০০ টাকার একটি বুটিক থ্রিপিস অর্ডার করেন ফেসবুক পেইজে। তখন থেকে সোনিয়া খুঁজছেন ভালো একটি কুরিয়ার মাধ্যম যার মাধ্যমে এই পোশাকটি তিনি পৌঁছে দিবেন গ্রাহকের কাছে। বন্ধুবান্ধবের সহযোগীতায় কুরিয়ারে ডেলিভার হবার পর, কুরিয়ার এ কন্ডিশন সিস্টেমের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বিক্রিত ড্রেসটির অর্থ তার হাতে এসে পৌঁছায়।
প্রথম দিকে পরিবার থেকে বেশ চাপ আসলেও সময়ের সাথে সাফল্যে আসতে শুরু হয়। আর এ জন্যই পরিবার থেকে এখন তিনি বেশ সহযোগীতা এবং উৎসাহ পাচ্ছেন। একজন নারী উদ্যোক্তা হয়ে উঠার গল্পটা অনেক কঠিন। কিন্তু সাফল্য সেখানেই যখন একজন গ্রাহকের চাহিদা পূরণের পর তার ফিরতি মেসেজে কাজের প্রশংসা এবং পরবর্তীতে সময়েও গ্রাহক হওয়া। এমন অনেক গ্রাহক আছেন যাদের সাথে তার সামনা সামনি কখনো দেখা হয়নি কিন্তু প্রায় এক বছরের উপর ফ্যাশন প্যারাডাইসের পন্য অর্ডার করছেন।
সোনিয়া আফরিন চৌধুরী জেনি জানান, ফেসবুকের এমন অনেক পেইজ আছে যারা গ্রাহকের সাথে প্রতারণা করে, অনেকেই প্রথমে বিশ্বাস পান না। বিশ্বাসটা তখনই স্থাপিত হয় যখন তার কথামত প্রতিশ্রুত ডিজাইন আর কাপড় তার কাছে পৌঁছে যায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই। বুটিক এর কামিজের সাথে মিলিয়ে মানানসই ওড়ণা আর সেলোয়ার দেওয়া গ্রাহকের জন্য বেশ উপকারী। সবচেয়ে বড় কথা গ্রাহকের প্রশংসা আর উৎসাহেই আমার এতটা দূর আসা।
জেনির ফেনবুক পেজ-
https://www.facebook.com/janyparadise/
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ