পছন্দের ডিভাইস যত্নে রাখতে কে না চায়? তবে যত্নে রাখতে হলে জানতে হবে উপযুক্ত উপায় এবং সঠিক পরামর্শ। আর সেগুলো মেনে স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহারেই মিলবে সন্তুষ্টি। অনেকেই সঠিক পদ্ধতি না জেনে স্মার্ট ডিভাইস পরিষ্কার করতে গিয়ে তা নষ্ট করে ফেলে। আর সেদিক বিবেচনায় দীর্ঘদিন ব্যবহারের লক্ষ্যে ডিভাইসের প্রতি যত্নশীল হওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু বিষয় মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে স্যামসাং মোবাইল বাংলাদেশ।
স্মার্টফোন পরিষ্কারের সময় করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়:
বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন আমাদের জীবনের অপরিহার্য উপাদানে পরিণত হয়েছে। তাই, স্মার্টফোনের দুর্দান্ত পারফরমেন্স পেতে এর সঠিক পরিচর্যা খুবই জরুরি। কিছু বিষয় মনে রাখলে খুব সহজেই স্মার্টফোনটি পরিষ্কার করা যায়।
মাইক্রো ফাইবার কাপড়ের ব্যবহার: স্মার্টফোনের ডিসপ্লেসহ বাইরের অংশ পরিষ্কারের জন্য নরম ও মাইক্রোফাইবার কাপড় ব্যবহার করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে, খুব জোরে না মুছে আলতোভাবে মোছাটাই অধিক শ্রেয়। এতে করে, ডিসপ্লের বাইরের অংশের কোনো ধরণের ক্ষতি কিংবা সৌন্দর্যহানি ঘটবে না।
সরাসরি তরলজাতীয় কোন কিছু ব্যবহার না করা: স্মার্টফোন পরিষ্কারের সময় ডিসপ্লে বা বাইরের আবরণের ওপর সরাসরি তরল পদার্থ জাতীয় কোন কিছু ব্যবহার না করাটাই ভালো। এতে স্মার্টডিভাইসে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে, সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হচ্ছে, মাইক্রোফাইবার কাপড়ে পরিমাণমতো তরল পদার্থ নিয়ে ডিভাইস পরিষ্কার করা।
স্প্রে ব্লিচ ব্যবহারে সতকর্তা: স্মার্টফোনের ওপর সরাসরি বোতলবন্দী বাতাস কিংবা স্প্রে ব্লিচ ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।
পরিষ্কারের আগে: স্মার্টফোন পরিষ্কারের আগে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখতে হবে। প্রথমত, স্মার্টডিভাইসের পাওয়ার অফ করে নিতে হবে। দ্বিতীয়ত, পরিষ্কারের সময় স্মার্টফোনকে চার্জে লাগানো থেকে বিরত থাকতে হবে। এবং তৃতীয়ত, স্মার্টডিভাইসের কেস খুলে নিতে হবে।
বাইরের অনাকাক্সিক্ষত চাপ থেকে স্মার্টফোনকে সুরক্ষিত রাখা:
বিভিন্ন কারণে স্মার্টফোনের ক্ষতি হতে পারে। তাই স্মার্টফোনকে সুরক্ষিত রাখতে হলে একটু বাড়তি সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।
পকেটে থাকা অবস্থায় স্মার্টফোনের ওপর যেনো বাড়তি চাপ না পড়ে
চাবি ও পাওয়ার ব্যাংকের মতো প্রভৃতি ধাতব পদার্থের সাথে একই পকেটে বা ব্যাগে স্মার্টফোন না রাখাই ভালো। এতে করে, স্মার্টফোনের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে।
ভ্রমণের সময় স্মার্টফোনটিকে পৃথক পকেট কিংবা ব্যাগে রাখা ভালো :
শোয়ার সময় বা ঘুমানোর সময় বালিশ বা অন্য কোনো কিছুর নিচে ফোন রাখা একদমই উচিৎ না
বর্তমান সময়ের স্মার্টফোনগুলো একটু বড় আকারেরই হয়ে থাকে। তাই, পকেট কিংবা ব্যাগে স্মার্টফোন বহন করার সময় একটু বাড়তি সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ, আমাদের পরিধেয় প্যান্ট (বিশেষ করে জিন্স) কিংবা বহনকৃত ব্যাগগুলোও অনেক সময় স্মার্টফোনের আকারেরই হয়ে থাকে। সর্বোপরি এ নিয়ে সচেতনতাও বাড়াতে হবে। তাহলেই, ব্যবহারকারীরা সুরক্ষিতভাবে স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারবেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন