জয়েন্ট অ্যাকশান ফর নিউট্রিশন আউটকাম (জানো) প্রকল্প ভ্যালু চেইন গবেষণা ফলাফল অবহিতকরণের জন্য একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করেছে। এ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও সহ-অর্থায়নে রয়েছে অস্ট্রিয়ান ডেভলপমেন্ট কোঅপারেশন। জানো প্রকল্পটি কেয়ার, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল ও ইকো সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)এর একটি কনসর্টিয়াম প্রকল্প।
জানো প্রকল্প রংপুর ও নীলফামারী জেলার গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মা, পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের অপুষ্টি দূরীকরণের লক্ষে কাজ করছে যা সরকারের জাতীয় পুষ্টি পরিকল্পনা ২ (NPAN-2) অর্জনেও সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
বাড়ির আঙ্গিনায় উচ্চ পুষ্টিমান সমৃদ্ধ কৃষি পণ্য উৎপাদন ও গবাদিপ্রাণি পালনের মাধ্যমে গৃহস্থলীর সদস্যদের পুষ্টি ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি, নিরাপদ পানি, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, পয়ঃনিষ্কাশন সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় সেবাসমূহ বিষয়ে জানো প্রকল্প সম্প্রতি একটি গবেষণা সম্পন্ন করেছে। আজকের ওয়েবিনার আলোচনার মাধ্যমে এ প্রকল্পের গবেষণার ফলাফল ও পরামর্শ উপস্থিত সবাইকে জানানো হয়েছে এবং উপস্থিত অতিথিবৃন্দের নিকট থেকে এ বিষয়ে পরামর্শ গ্রহণ করা হয়েছে।
এই আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল মুয়ীদ। এছাড়াও উক্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধিবৃন্দ, গবেষণা বিষয়ের সাথে প্রাসঙ্গিক সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ, উন্নয়ন সহযোগী, একাডেমিশিয়ান, প্রাকটিশনার্স ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের বিশেষজ্ঞগন।
উক্ত আলোচনায় উপস্থিত অতিথিবৃন্দ নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের উপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেন এবং গবেষণায় সুপারিশকৃত বিষয়ের পাশাপাশি কম মূল্যমানের উচ্চ পুষ্টিমান সম্পন্ন পন্য যেমন সজনে পাতা, মিষ্টি আলু, ডিম ও ফর্টিফাইড শষ্যের কথা বিবেচনা করতে জানো প্রকল্পকে পরামর্শ প্রদান করেন।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ