সবজি বীজের অন্যতম পথিকৃত প্রতিষ্ঠান ইস্ট ওয়েস্ট সীড সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে বাংলাদেশে তার নবযাত্রা শুরু করেছে দেশের অন্যতম সেরা বীজ প্রতিষ্ঠান এসিআই সীডের সাথে যৌথভাবে। সর্বমোট ৭১ অধিক ফলণশীল উন্নত জাতের বীজ ইতোমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধন করা হয়েছে বাজারজাতকরণের জন্য, যার মধ্যে হাইব্রিড করলা-পালি প্লাস, ঝিঙ্গা-বীর সুপার, মিষ্টিকুমড়া-সোনাবউ, শসা-তামিম প্লাস উল্লেখযোগ্য।
এছাড়াও হাইব্রিড লাউসহ বিভিন্ন সবজি ফসলের অধিকফলণশীল হাইব্রিড এবং উচ্চফলণশীল জাত রয়েছে যা বর্তমান প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের অর্থনৈতিকভাবে লাভবান করবে। এসকল জাতসমূহ বাংলাদেশে বিভিন্ন কৃষি-পরিবেশিক অঞ্চলে বিশেষ করে যশোর, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা এবং চট্টগ্রামে উপযোগীতা ও উৎপাদশীলতা পরীক্ষার পর জাত নিবন্ধন করা হয়েছে।
ইস্ট ওয়েস্ট সীডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর দীলিপ রাজন তার অভিব্যক্তি প্রকাশ করে বলেন, “ক্ষুদ্র চাষীরা এই দুর্যোগপূর্ণ মুহুর্তে প্রতিনিয়ত বীজের গুনগতমান এবং উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাতকরণসহ বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আসছেন। আমরা ইস্ট ওয়েস্ট সীড প্রতিকূল আবহাওয়া এবং রোগ ও পোকামাকড় সহনশীলতার সাথে সাথে অধিকতর উৎপাদনশীল হাইব্রিড জাত বাজারজাত শুরু করেছি যা আমাদের চাষীদের আরো ভালো অভিজ্ঞতা দিবে। বর্তমান দুর্যোগপূর্ণ সময়ে সবজি ফসল, উন্নয়নের একটি বড় অংশীদার যা ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের অধিকতর বাজার মূল্যের সবজি উৎপাদনের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে আরো বেশি সাবলম্বী করে তুলবে। বাংলাদেশ ইস্ট ওয়েস্ট সীডের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মার্কেট।”
এসিআই সীডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও ড. এফ. এইচ. আনসারি বলেন, “আমরা বিশ্বের সেরা সবজি বীজ প্রতিষ্ঠান ইস্ট ওয়েস্ট এর সাথে যুক্ত হতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত, যারা বিশ্বে সবজি ফসলের উপরে গবেষণা ও উন্নয়ন সহ বীজ উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণে পথিকৃত। বাংলাদেশের বীজ শিল্পে আমাদের দীর্ঘ পদচারণার অভিজ্ঞতা থেকে আশা করছি এই যুগলবন্ধী বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের যুগোপযোগী জাত সরবরাহের মাধ্যমে সারা দেশে সবজি উৎপাদন এবং চাষীদের আয় বৃদ্ধিতেও সহায়তা করবে। এই যুগলবন্ধী দেশের পরিবর্তিত জলবায়ু, বাজার এবং ভোক্তার চাহিদা মোতাবেক উন্নত প্রযুক্তির বীজ সরবরাহ করবে।
ইস্ট ওয়েস্ট সীড বিশ্বের অন্যতম পথিকৃত বীজ প্রতিষ্ঠান, যার সারা বিশ্বে অত্যন্ত শক্তিশালী গবেষণা, উৎপাদন এবং বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র রয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নের সাথে সাথে কৃষকের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নেও আমরা বিশেষ অবদান রাখতে পারবো।”
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন