বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আইসিটি সল্যুশন, পণ্য এবং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান আগামী ৩১ মার্চের ২০২০ সালের বার্ষিক ব্যবসায়িক প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। চীনের শেনঝেন থেকে একটি অনলাইন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। সাংবাদিক, বিশ্লেষক, প্রতিষ্ঠানটির সহযোগী, গ্রাহকগণ এবং অন্য যে কোন আগ্রহী হুয়াওয়ের বিভিন্ন অফিসিয়াল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভার্চুয়াল এই সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
এ সংবাদ সম্মেলন সম্পৃক্ত একটি ঘোষণায় হুয়াওয়ে জানিয়েছে, প্রতিকূল আন্তর্জাতিক পরিবেশ ও কোভিড-১৯ এর কারণে নানা চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে হুয়াওয়ে এবং একইসাথে গ্রাহক ও সমাজের জন্য ধারাবাহিকভাবে অবদান রেখে গেছে।
গত ২০১৯ এর বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, হুয়াওয়ে ১২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে, যা ছিল ২০১৮ সালের তুলনায় ১৯.১% শতাংশ প্রবৃদ্ধি। ২০২০ সালের প্রথমার্ধে প্রতিষ্ঠানটির আয় হয়েছে ৪৯.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বছরপ্রতি হিসেবে ১৩.১ শতাংশ বেশি এবং নিট মুনাফা মার্জিন ৯.২ শতাংশ।
হুয়াওয়ের সম্পূর্ণ মালিকানা এর কর্মীদের। প্রতিষ্ঠানটির ৩০ বছরের গবেষণা ও উন্নয়নে (আরঅ্যান্ডডি) বিনিয়োগ, ক্রেতাদের চাহিদার ওপরে গুরুত্বারোপ, এর এক লাখ ৯০ হাজারের বেশি কর্মীর নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানটির বিগত বছরগুলোতে সফলতার কারণ। গত ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে হুয়াওয়ে এর বার্ষিক আয়ের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ আরঅ্যান্ডডি -তে বিনিয়োগ করেছে। যেখানে শুধুমাত্র ২০১৮ সালেই আরঅ্যান্ডডি-এ ব্যয় ছিলো ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যার ধারাবাহিকতায়, ২০১৮ ইইউ ইন্ডাস্ট্রিয়াল আরঅ্যান্ডডি ইনভেস্টমেন্ট স্কোরবোর্ড অনুযায়ী, আরঅ্যান্ডডি ব্যয়ের হিসাবে হুয়াওয়ে হয়ে যায় বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ প্রতিষ্ঠান।
নিজস্ব প্যাটেন্টের মালিকানা হিসেবেও গত বছর রেকর্ড প্রবৃদ্ধি হয়েছে হুয়াওয়ের এবং এর ফলে এ খাতের সকল প্রতিযোগীকে ছাড়িয়ে হুয়াওয়ে এখন বিশ্বের সর্ববৃহৎ প্যাটেন্ট মালিকানা প্রতিষ্ঠান। গত বছরের শেষে সারা বিশ্বের ৪০,০০০ এরও বেশি পেটেন্ট পরিবারে ১০০,০০০ এর অধিক সক্রিয় পেটেন্ট রয়েছে হুয়াওয়ের যেখানে ২০১৯ সালের শেষে এই সংখ্যা ছিল ৮৫,০০০ এর কিছু বেশি। পেটেন্ট মালিকানার ক্ষেত্রেও এটি প্রতিষ্ঠানটির সর্বোচ্চ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি।
সম্প্রতি, গ্লোবাল টিডি-এলটিই (জিটিআই)হুয়ালিং শিয়াংগ্যাং প্রকল্পে ফাইভজি নেটওয়ার্কের জন্য ২০২১ মার্কেট ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে হুয়াওয়ে। ফাইভজিটুবি’র বাণিজ্যিক উন্নয়ন ও ইন্ডাস্ট্রি ম্যাচুরিটির প্রবৃদ্ধি ও বিস্তৃতিতে হুয়াওয়ের অবদানের স্বীকৃত্বিস্বরূপ প্রতিষ্ঠানটিকে এ অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়।
ইতোমধ্যেই সাতশ’র বেশি শহর ও ২২৮ এর বেশি ফরচুন গ্লোবাল ৫০০ প্রতিষ্ঠান তাদের ডিজিটাল রূপান্তরে অংশীদার হিসেবে হুয়াওয়েকে বেছে নিয়েছে।
হুয়াওয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানটি দেখতে আগ্রহীগণ হুয়াওয়ে বাংলাদেশের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজের (www.facebook.com/HuaweiTechBD) মাধ্যমে যোগ দিতে পারবেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার