২৪ মে, ২০২৪ ১১:১৮

‘ডিজিটাল ইনক্লুশন’ প্রকল্পে প্রশিক্ষণ পাবেন সাড়ে ২৩ লাখ মানুষ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

‘ডিজিটাল ইনক্লুশন’ প্রকল্পে প্রশিক্ষণ পাবেন সাড়ে ২৩ লাখ মানুষ

'ডিজিটাল ইনক্লুশন: সেফ ডিজিটাল স্পেস ফর গার্লস অ্যান্ড ইয়ুথ প্রজেক্ট'-এর মাধ্যমে দেশের ২৩ লাখ ৫০ হাজার প্রান্তিক নারী ও তরুণ-তরুণীদের ক্ষমতায়নে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে টেলিনর, গ্রামীণফোন এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল। উদ্যোগটির লক্ষ্য হচ্ছে ডিজিটাল স্বাক্ষরতা, দক্ষতা ও সহনশীলতা বাড়ানো এবং আর্থ-সামাজিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে থাকা নারী ও তরুণ-তরুণীদের জন্য নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ প্রশিক্ষিত করা। 

প্রকল্পের অংশ হিসেবে গত ১৯, ২০ ও ২১ মে যথাক্রমে সাভার, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জ সফর করেন টেলিনর, গ্রামীণফোন এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের একটি দল। প্রযুক্তিকে কাজে লাগানোর অভিন্ন অঙ্গীকার নিয়ে ডিজিটাল বৈষম্য নিরসনে এবং সমাজের সকলের জন্য, বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে টেলিনর, গ্রামীণফোন এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল এই উদ্যোগ নিয়েছে।  

ডিজিটাল টুল ও সম্পদগুলো কীভাবে তাদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনছে তা জানার জন্য সাভার, সিলেট, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জ সফরের সময় প্রকল্পে অংশগ্রহণকারীদের সাথে সরাসরি কথা বলেন প্রতিনিধিরা। পিছিয়ে থাকা এই জনগোষ্ঠীর মধ্যে শিক্ষার সুযোগ থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন সকল ক্ষেত্রে উদ্ভাবন ও অন্তর্ভূক্তির সংস্কৃতি গড়ে তুলছে এই প্রকল্প। ডিজিটাল দক্ষতা ও নিরাপদ অনলাইনে প্রশিক্ষিত করে তোলার মাধ্যমে আটটি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে এই প্রকল্পে বিশেষ জোর দেয়া হচ্ছে। 

জনগোষ্ঠীগুলো হচ্ছে বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তি, চা বাগানের শ্রমিক, ট্রান্সজেন্ডার, জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি (হাওর ও চর), জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু, মহিলা প্রধান পরিবার, পথশিশু এবং জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলের মাধ্যমে চিহ্নিত অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ। প্রকল্পের আওতায় ডিজিটাল দক্ষতা ও নিরাপদ অনলাইনে প্রশিক্ষিত করার লক্ষ্যে সরাসরি প্রশিক্ষণ প্রদান, স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং যুব সমাজের নেতৃত্বে ক্যাম্পেইন পরিচালনা, রেডিও অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হচ্ছে। বেসলাইন জরিপ এবং স্থানীয়দের প্রয়োজন বিবেচনায় নিয়ে প্রশিক্ষণের কনটেন্টগুলো সাজানো হয়েছে। কমিউনিটির সাথে আলাদা আলাদাভাবে কথা বলে প্রশিক্ষণ মডিউলগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যা খুব বাস্তবসম্মত। 

প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কবিতা বোস, টেলিনর এশিয়ার হেড অব এক্সটার্নাল রিলেশনস মনীষা ডোগরা, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড লার্নিং’র ডিরেক্টর জলি নূর হক, গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) মোহাম্মদ সাজ্জাদ হাসিব, চিফ হিউম্যান রিসোর্স  অফিসার (সিএইচআরও) সৈয়দা তাহিয়া হোসেন, চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার (সিসিএও) হ্যান্স মার্টিন হেনরিক্সন, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল নরওয়ের ওয়াইইই অ্যান্ড ডিজিটাল এমাপাওয়ারমেন্ট’র এডভাইজর আলেক্সান্ডার লেটেলিয়ের, ডিরেক্টর অব পার্টনারশিপস অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলমপন্ট জোহান য়ুন এবং টেলিনরের হেড অফ সাসটেইনেবিলিটি জোহান মার্টিন। 

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, "এই প্রকল্পের অংশ হতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। কারণ এই প্রকল্পের মাধ্যমে ডিজিটাল বৈষম্য দূর এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল সমাজ গড়ার অগ্রযাত্রায় কেউ যেন পিছিয়ে না থাকে তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। প্রান্তিক নারী ও তরুণ-তরুণীদের প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করা হচ্ছে যেন তারা আজকের ডিজিটাল বিশ্বের সাথে খাপ খাওয়াতে পারেন। এর ফলে তারা নিজেরা বিভিন্ন সুবিধা গ্রহণের পাশাপাশি তাদের কমিউনিটি ও কমিউনিটির বাইরের মানুষদের জীবনেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারবেন।” 

বিডি প্রতিদিন/এএম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর