তিনটি গভীর নলকূপের বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ফুলবাড়ী উপজেলার দুই শতাধিক একর জমির বোরো চাষ। দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার আলদিপুর ইউনিয়নের ইসমাইলপুর, গকুল ও জয়ন্তি মৌজায় প্রায় দুই শতাধিক একর জমির বোরো চাষ নিয়ে শঙ্কায় স্থানীয় কৃষকরা। ইসমাইলপুর এলাকায় সেচের অভাবে পড়ে রয়েছে আবাদি জমি। কৃষকরা সেচের অভাবে বোরো রোপণ করতে পারছেন না। কৃষকেরা জানান, এক সপ্তাহের মধ্যে সেচ দেওয়া না হলে তারা বোরো রোপণ করতে পারবেন না। ভুক্তভোগী গভীর নলকূপ মালিক আলাদিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর রহমান বলেন, উপজেলা সেচ কমিটির অনুমোদন নিয়ে সেচ পাম্প স্থাপন করার পর দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কাছে সংযোগের আবেদন করেন। কিন্তু দুই বছরেও দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বিদ্যুৎ সংযোগ না দেওয়ায়, তিনি নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোং নেসকোর কাছে বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদন করেন। নেসকো তার গভীর নলকূপে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে আপত্তি করেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২। একই কথা বললেন গকুল মৌজার গভীর নলকূপের মালিক মনসুর আলী ও জয়ন্তি মৌজার গভীর নলকূপের মালিক আবু সাইদ। ফুলবাড়ী উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুস সালাম চৌধুরী বলেন, কৃষকের বিষয়টি সামনে রেখে নেসকো এবং দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের বলেছি, আপনারা কে বিদ্যুৎ সংযোগ দিবেন তা নিজেরাই সমাধান করেন। আমি চাই এ মৌসুমেই যেন ওইসব জমিতে বোরো আবাদ করা যায়। পরে তারা নিজ নিজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবেন বলে জানান।