শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

ইঁদুরের আক্রমণে ফলন বিপর্যয়ের আশ্ঙ্কা

দিনাজপুর প্রতিনিধি

ইঁদুরের আক্রমণে ফলন বিপর্যয়ের আশ্ঙ্কা

চলতি মৌসুমে আমন ধান খেতে ব্যাপক হারে ইঁদুরের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। দিনাজপুরের হাকিমপুর, বীরগঞ্জ, চিরিরবন্দরসহ বিভিন্ন উপজেলায় ধানের গাছ ইঁদুর কেটে নষ্ট করছে। বিভিন্ন ধরনের ইঁদুরের আক্রমণ ঠেকাতে কৃষকরা বিভিন্ন ওষুধ প্রয়োগ, বিভিন্ন ধরনের ফাঁদসহ নানারকম ব্যবস্থা নিলেও কমছে না ইঁদুরের আক্রমণ। এতে ফলন বিপর্যয় আফঙ্কায় কৃষকরা। তবে ইঁদুর নিধনে কৃষি অফিস নানারকম পরামর্শ দিচ্ছে বিভিন্ন মাঠ পর্যায়ের কৃষককে। যেসব জমিতে ইঁদুর ইতিমধ্যেই ধান কেটে ফেলেছে সেগুলো আর রিকভার হওয়ার সম্ভাবনা নেই। হাকিমপুর উপজেলার জালালপুর গ্রামের কৃষক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, গত বোরো মৌসুমে ধানের ভালো দাম পাওয়ায় এবং পরিবারের চালের চাহিদা মেটাতে এবার আমন চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেন কৃষকরা। কিন্তু কৃষকের সেই স্বপ্নে হানা দিয়েছে ইঁদুর। আমি নিজেও ১০ বিঘা জমিতে ধান আবাদ করেছি। যার মধ্যে ২ বিঘায় স্বর্ণা-৫ জাতের ধান রোপণ করেছি, বাকি ৮ বিঘা জমিতে কাটারি ধান লাগিয়েছি। কিন্তু স্বর্ণা ৫ জাতের ধান গাছের অবস্থা খারাপ। ইঁদুরে মাঠের ধানের গাছ কেটে ফেলেছে। ওষুধ দিচ্ছি কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না, আবার পলিথিন বেঁধে দিয়েছি তাতেও ফল হচ্ছে না। যেভাবে গাছ হয়েছিল তাতে ধানের বাম্পার ফলন হতো কিন্তু যে হারে ইঁদুর ধান কাটছে তাতে আশাই ছেড়ে দিয়েছি। বীরগঞ্জ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহজাহান আলী জানান, স্বর্ণা-৫ জাতসহ আগাম জাতের ধানে এই ইঁদুরের আক্রমণটা বেশি। তাই ইঁদুর নিধনে নানা পরামর্শ কৃষি অফিস দিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে বাঁশের তৈরি যে প্রচলিত ফাঁদ, বিষ-ফাঁদ, ধানের জমিতে কলাগাছ পুঁতে দেওয়া হয়, এতে জমিতে পেঁচা বসবে। আর রাতের বেলা পেঁচা ইঁদুর ধরে খাবে, তাতেও কিছুটা ইঁদুর নিয়ন্ত্রণ হবে। এরপরও আশা করা যায়, এবারও আমনের ফলন ভালো হবে।

সর্বশেষ খবর