শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

লোকসানে লালমি-বাঙ্গি চাষিরা

ফরিদপুর প্রতিনিধি

লোকসানে লালমি-বাঙ্গি চাষিরা

ক্রেতার অপেক্ষায় লালমি চাষিরা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

‘তিন বিঘা জমিতে লালমি ও বাঙ্গি লাগাইছিলাম, ফলনও ভালো হইছে, তয় দাম নাই। গত বছর খেত থিকা পাইকারেরা লালমি-বাঙ্গি কিনা নিয়া যাইতো, এইবার একজনও আহে নাই। কেউ দামও জিগায় না। এইবার ছেলে-মেয়ে নিয়া পথে বসতে হইবো’-এ ভাবেই আক্ষেপের কথা বলছিলেন ফরিদপুরের সদরপুরের কৃষ্টপুর এলাকার কৃষক হারেজ প্রমাণিক। এ বছর লালমি ও বাঙ্গি চাষ করে লোকসানের মধ্যে পড়েছেন এ অঞ্চলের চাষিরা। দাম না পাওয়ায় এবং লকডাউনের কারণে বাজারে লোক সমাগম কম থাকায় চাষিদের কাছে কোনো পাইকার আসছে না। ফলে ফরিদপুরের অনেক স্থানে খেতেই নষ্ট হচ্ছে লালমি-বাঙ্গি। ফরিদপুর জেলার মধ্যে সবচে বেশি লালমি-বাঙ্গির আবাদ হয় সদরপুরের কৃষ্টপুর ও ভাসানচর ইউনিয়নে। এ বছর রোজা সামনে রেখে অধিক জমিতে চাষিরা লালমির আবাদ করেছিলেন। স্থানীয় চাষিরা জানান, গত বছর করোনা থাকলেও বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা এসেছিলেন। তারা ট্রাকে করে লালমি-বাঙ্গি নিয়ে গেছেন। এ বছর কোনো পাইকার আসছে না।

এ ছাড়া ফরিদপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা আসতেন লালমি-বাঙ্গি কিনতে। তারা এখান থেকে কিনে নিয়ে দোকানে ও ভ্যানে করে তা বিক্রি করতেন। এবার সেই ব্যবসায়ীদেরও দেখা নেই।  সদরপুরের মটুকচরের চাষি রাজিব বলেন, এক বিঘা জমিতে লালমি-বাঙ্গি চাষ করতে প্রায় ৪০-৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। লকডাউনের কারণে এ বছর ঢাকা থেকে পাইকার না আশায় লালমি-বাঙ্গি বিক্রি করতে পারছি না। বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ধারদেনা করে লালমির আবাদ করলেও খরচ ওঠা নিয়েই হিমশিম খেতে হবে। কৃষ্টপুরের হান্নান মোল্যা জানান, গত বছর প্রকারভেদে একেকটি লালমি-বাঙ্গি ৫০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ বছর ৩০-৫০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। এ দিয়ে তাদের খরচ ওঠানোই মুসকিল হবে।

সর্বশেষ খবর