মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

সংযোগ ট্রেন চালু না করায় দুর্ভোগ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

করোনাভাইরাসের কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বন্ধ হওয়া আন্তনগর ট্রেন পদ্মা ও ধূমকেতুর সংযোগসহ অন্য ট্রেন পুনরায় চালু না হওয়ায় যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন। অনেকেই বলছেন, অজ্ঞাত কারণে এ ট্রেনগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। এটা জেলার প্রতি রেলওয়ের বিমাতাসুলভ আচরণ। জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছরের ২৪ মার্চ থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। ফের গত ১ আগস্ট রাজশাহী থেকে পদ্মা ও ধূমকেতু চালু হলেও সংযোগ ট্রেন রাখা হয়নি। ফলে দুর্ভোগ বাড়ছে।

চালু না হওয়ায় যাত্রীরা প্রতিনিয়তই পড়েছেন দুর্ভোগে। স্বাভাবিক সময়ে পদ্মা এক্সপ্রেসের সংযোগ হিসেবে কমিউটার ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে দুপুর ২ টা ২০ মিনিটে ছেড়ে সেটি রাজশাহী স্টেশনে বিকাল পৌনে ৪টায় পৌঁছাত। আবার সেই কমিউটার ট্রেনটি সাড়ে ৫টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আবার রাত ৯ টার ৫০ মিনিটে ধুমকেতুর যাত্রীদের নিয়ে ১ ঘণ্টায় রাজশাহী পৌঁছে দিত। কিন্তু বর্তমান সময়ে  ট্রেন দুটির কমিউটার ট্রেন বন্ধ থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এতে করে অনেক যাত্রীকে রাজশাহীর হোটেল বা আত্মীয়ের বাড়িতে রাত যাপন করার পর ট্রেনগুলোতে যাত্রা করতে হচ্ছে। এতে করে যেমন বাড়তি সময় ব্যয় করতে হচ্ছে। তেমনি বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। যাত্রীরা দুপুরে পদ্মা এক্সপ্রেসের সংযোগ হিসেবে কমিউটার ট্রেনে করে অনায়াসে রাজশাহী যেতে পারত। অপরদিকে রাত সোয়া ১১টায় রাজশাহী রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া আন্তঃনগর ট্রেন ধুমকেতুর সংযোগ হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে কমিউটার ট্রেন ৯ টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে গিয়ে সেটিতে যাত্রীরা উঠত। সারা দেশে ট্রেন চালু হলেও এখন পর্যন্ত এখান থেকে সে ট্রেনগুলো চালু করা হয়নি। এমনকি যাত্রীদের সুবিধার্থে বিকাল ৪টায় পাবনা এক্সপ্রেস চালুর কথা থাকলেও অদ্যাবধি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এ জেলা থেকে যে ট্রেনগুলো চালু করা হচ্ছে না। তাতে রেল কর্তৃপক্ষের কতিপয় অসৎ ব্যক্তির স্বার্থসিদ্ধি রয়েছে বলে অভিযোগ করছেন। এমনকি পরিবহন মালিকদের যোগসাজশে রেল কর্তৃপক্ষ এ জেলা থেকে ট্রেনগুলো বন্ধ রেখেছে বলেও ধারণা করছেন অনেকেই। অনেকেই বলছেন, বিগত জোট সরকারের সময় রেল ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ভেঙে ফেলা হয়। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিকতায় ভঙ্গুর রেল ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করা হয়। সচেতনমহল মনে করছেন, এ অঞ্চলের রেল ব্যবস্থাকে মান্ধাত্মা আমলে নিয়ে যাবার জন্য হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে কতিপয় রেল কর্মকর্তারা। যা আওয়ামী লীগ সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাবমূর্তিকে  ক্ষণ্ণ করার শামিল। এছাড়া অরক্ষিত রেলস্টেশনটিকে এখন পর্যন্ত সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহণ না করায় যাত্রীরা যেমন নিরাপত্তহীনতায় ভুগছে, তেমনি স্টেশনে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনাও ঘটছে। সুশীল সমাজ বিগত সময়ে বিভিন্ন আন্দোলনের মাধ্যমে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে ট্রেন চালুর দাবি জানালেও এখন পর্যন্ত কোনো সুরাহা পাওয়া যায়নি।

সর্বশেষ খবর