শুক্রবার, ১২ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা
ছিঁড়ে গেছে সাবমেরিন ক্যাবল

দেড় মাস অন্ধকারে মদনপুর

ভোলা প্রতিনিধি

দেড় মাস অন্ধকারে মদনপুর

বিদ্যুৎ নেই, কুপির আলোতে চলছে পড়ালেখা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

মেঘনা নদীর তলদেশ দিয়ে যাওয়া সাবমেরিন ক্যাবল ছিঁড়ে যাওয়ায় ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপচর মদনপুর ইউনিয়নের গ্রাহকরা দেড় মাসের বেশি সময় অন্ধকারে রয়েছেন। স্থানীয়দের ধারণা, মেঘনা নদী দিয়ে যাওয়া পণ্যবাহী বার্জ বা জাহাজ যাওয়ার সময় নোঙ্গর ফেলায় ছিঁড়ে গেছে সাবমেরিন ক্যাবল। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কয়েক দফা চেষ্টার পরও মদনপুর ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয় গ্রাহকরা জানান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতায় চলতি বছরের শুরুর দিকে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে সদর উপজেলার দ্বীপচর মদনপুর ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এতে চরের কয়েক হাজার মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পান। তাদের জীবনযাত্রার মান পাল্টে যেতে শুরু করে। দুই মাস যেতে না যেতেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। খোঁজ নিয়ে তারা জানতে পারেন, ক্যাবলে সমস্যা হয়েছে। তাই বিদ্যুৎ সাপ্লাই বন্ধ আছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা যায়, মেঘনার মদনপুর চ্যানেল দিয়ে প্রতিদিন পণ্যবাহী শত শত বার্জ, জাহাজ যাতায়াত করছে। শীতের সময় নদীতে পানি কম থাকায় জাহাজগুলো নোঙ্গর ফেলে ক্যাবলের ক্ষতি করতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে ওই এলাকা দিয়ে যাওয়া জলযানগুলোকে চিঠি দিয়ে এবং মাইকিং করে শতর্ক করা হয়। কিন্তু বর্ষায় নদীতে পানি বেশি থাকায় ক্ষতির আশঙ্কা ছিল না। তারপরও ক্যাবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভোলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম আলতাফ হোসেন জানান, চলতি বছরের শুরুর দিকে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে মেঘনার মধ্যবর্তী মদনপুর চরে বিদ্যুৎ পৌঁছানো হয়। সেখানে ৭৪১ জন গ্রাহক বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছেন। নদীর তলদেশ দিয়ে নেওয়া তিনটি ক্যাবলই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গত ২৩ জুন থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। জিএম আরও জানান, ইতোমধ্যে ক্যাবল সারানোর জন্য তিনটি টিম এসেছিল। ক্যাবল সারানো সম্ভব হয়নি। যত দ্রুত সম্ভব আরও উচ্চপর্যায়ের টিম এনে ত্রুটি সারিয়ে মদনপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর