বুধবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

গ্র্যাজুয়েট চা ওয়ালা তিন বন্ধুর সাফল্য

দিনাজপুর প্রতিনিধি

গ্র্যাজুয়েট চা ওয়ালা তিন বন্ধুর সাফল্য

পড়ালেখা শেষে চাকরির পেছনে না ছুটে সংসারের বোঝা কমাতে সবার অনুকরণীয় হয়েছেন তিন যুবক। তারা দিনাজপুরের একটি বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা শেষ করে শুরু করেন উন্মুক্ত স্থানে ভিন্ন স্বাদের চায়ের ভ্রাম্যমাণ দোকান। শুরুতে পিছুটান থাকলেও তাদের সফলতায় এখন খুশি পরিবার। ভিন্ন স্বাদের এই চা দোকানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘গ্র্যাজুয়েট চা দোকান’। যাদের উদ্যোগের প্রশংসা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। ‘গ্র্যাজুয়েট চায়ের’ স্বাদ নিতে প্রতিনিয়িত দোকানে ভিড় করছেন গ্রাহক। প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে তিন বন্ধুর চায়ের দোকান। ভিন্ন উদ্যোগ ও স্বাদের টানে শহরজুড়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই ‘গ্র্যাজুয়েট চা দোকান’। যেখানে পরিবার-পরিজন, বন্ধুবান্ধব নিয়ে আবার কেউ আসছেন একা চায়ের কাপ চুমুকে সময় পার করতে। এখানে পাওয়া যায় ভিন্ন স্বাদের ভিন্ন দামে পাঁচ রকমের চা। সুজন, সাইফুল ও রানা নামে তিন বন্ধুর এই গ্র্যাজুয়েট চাস্টলে প্রতিদিন প্রায় ৪০০ কাপ চা বিক্রি হয়। সরেজমিন দেখা যায় একজন চা বানাচ্ছেন। অন্যজন ট্রেতে কাপ সাজাচ্ছেন আরকেজন ক্রেতার কাছে পরিবেশন করছেন। নতুনত্ব আনতে ব্যবহার করা হচ্ছে পরিবেশবান্ধব পোড়ামাটির কাপ। এখানে চা পান করতে আসা লোকজনের বেশির ভাগই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। গ্র্যাজুয়েট চাওয়ালার উদ্যোক্তা সুরুত জামান ইসলাম সুজন, সাইফুল ইসলাম ও রানা জানান, প্রথম অবস্থায় অনেকে বাঁকা চোখে দেখলেও এখন সবাই উৎসাহ দেন।

এই চায়ের দোকান আমাদের নতুনভাবে স্বপ্ন দেখাচ্ছে। এখানে প্রতিদিন ৪০০ কাপ চা বিক্রি হয়। এখানে দুই রকম চা পাওয়া যায়। পোড়ামাটির কাপে ও প্লাস্টিকের কাপে। প্রতি পোড়ামাটির কাপ ২০ টাকা আর প্লাস্টিকের কাপ ১৫ টাকা করে। তারা আরও জানান, লেখাপড়া করে শুধু চাকরির উদ্দেশ্যই নয়, বেকারত্ব দূর করতে যে কোনো কাজই করা যায়। সেটি বড় হোক বা ছোট।

সর্বশেষ খবর