শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

বাঁশের সাঁকোয় নদী পারাপার

খন্দকার একরামুল হক সম্রাট, কুড়িগ্রাম

বাঁশের সাঁকোয় নদী পারাপার

রাজীবপুরে জিনজিরাম নদীর ওপর তৈরি সাঁকো

কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলার একটি ইউনিয়নে নদীর ওপর সেতু না থাকায় ভোগান্তিতে রয়েছেন এলাকাবাসী। দুই যুগ ধরে কষ্টে যাতায়াত করছেন কয়েক হাজার মানুষ। বিকল্প হিসেবে চলাচলে এখন তাদের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। রাজীবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বালিয়ামারী ও রৌমারী উপজেলার লাঠিয়াল ডাঙা সড়কের জিনজিরাম নদীর ওপর একটি সেতুর অভাবে বিভিন্ন কৃষিপণ্য আনা-নেওয়ায় গুণতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। দীর্ঘদিন এ অবস্থা চললেও সংশ্লিষ্ট কোনো কর্তৃপক্ষের নজর নেই। দুর্ভোগ কমাতে নদীর ওই স্থানে দ্রুত ব্রিজ নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের। জানা যায়, লাঠিয়াল ডাঙা সড়কের বালিয়ামারী নামক এলাকায় জিনজিরাম নদীর ওপর নির্মিত সাঁকোটিরও বর্তমানে নড়বড়ে অবস্থা। প্রায় ১০০ মিটার দৈর্ঘ্যরে এ বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। উৎপাদিত কৃষিপণ্য মাথায় নিয়ে পারাপার হচ্ছেন অনেকে। বালিয়ামারী নয়াপাড়া গ্রামের চান মিয়া বলেন, আমি নদীর ঘাটের ইজারা নিয়েছি। বর্ষা মৌসুমে খেয়া নৌকা চালিয়ে মানুষকে পারাপার করি। আর শুষ্ক মৌসুমে এ বাঁশের সাঁকো স্বেচ্ছায় নির্মাণ করে দিয়েছি। দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে মানুষ খুব কষ্টে এ পথে যাতায়াত করছেন। বকবান্ধা, খেওয়ার চর, আলগার চর, লাঠিয়াল ডাঙা, বংশীভিটা, বাগানবাড়ি, বালিয়ামারী  বাজারপাড়া, ব্যাপারীপাড়া, পশ্চিমপাড়া, মন্ডলপাড়া, নয়াপাড়া, শিবেরডাঙ্গী ও চর লাঠিয়ালডাঙা গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন এ সাঁকো দিয়ে চলাচল করেন। বালিয়ামারী গ্রামের ডেকোরেটর ব্যবসায়ী বশির আলম বলেন, বাঁশের সাঁকো দিয়ে এ অঞ্চলের বৃদ্ধ, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা নদী পারাপার করেন। যে কোনো রোগীকে সাঁকোর ওপর দিয়ে নিতে খুব দুর্ভোগে পড়তে হয়। বাধ্য হয়ে এখানকার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে এ রাস্তা ব্যবহারসহ সাঁকো পার হচ্ছেন। মাঝে মধ্যে সাঁকোর খুঁটি ও মাঁচা ভেঙে ঘটে দুর্ঘটনা। সেতু নির্মাণ না হওয়ায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য পরিবহনে অতিরিক্ত টাকা খরচ এবং ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয় কৃষক। রাজিবপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান মিরন মো. ইলিয়াস জানান, এলাকার মানুষের কষ্টের কথা বিবেচনা করে এখানে দ্রুত সেতু নির্মাণ করা প্রয়োজন। রাজিবপুর উপজেলা প্রকৌশলী মামুনুর রহমান বলেন, আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সেতুর তালিকা দিয়েছি। অনুমোদন পেলে নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।

সর্বশেষ খবর