বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

ওসিসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ঘুষের মামলা

দুমকী প্রতিনিধি

ব্ল্যাকমেল, নির্যাতন, চাঁদা গ্রহণসহ একাধিক অভিযোগ এনে পটুয়াখালীর দুমকী থানার ওসি আবদুস সালাম ও দুজন এসআইসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক যুবক। ২১ মার্চ পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করা হয়। জানা যায়, বাউফল উপজেলার রাজনগর এলাকার সুনাম উদ্দিনের ছেলে জাকির হোসেনের খালাতো ভাই সাদমান সাকিবের নামে উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা সৈয়দ ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম ও মেয়ে রিজোয়ানা হিমেল, শ্রীরামপুর ইউনিয়নের তাহের আলী রুমাসহ একটি সংঘবদ্ধ চক্র মুরাদিয়া ইউনিয়নের আলী শরীফের মেয়ে খাদিজা শিমুকে দিয়ে ভুয়া কাবিননামা করে পটুয়াখালী কোর্টে  যৌতুক মামলা দায়ের করেন। ঘটনার বিপরীতে পুলিশ সুপার বরাবর সাদমান সাকিবের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। বিষয়টি পুলিশ সুপার  দুমকী থানাকে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

পরবর্তীতে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই দেলোয়ার হোসেন ফোন করে আমাদের থানায় আসতে বলেন। ২৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বাদীপক্ষ থানায় এলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ওতপেতে থাকা বিবাদীরা বাদী সাদমান সাকিব ও সাক্ষী জাকির হোসেনকে দেখেই সবার সামনে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করেন। পরবর্তীতে পুলিশ উল্টো সাদমান সাকিব ও জাকির হোসেনকে আটক করেন এবং এসআই সাখাওয়াত হোসেন বিবাদীদের পক্ষ নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং বিবাদীদের নারী নির্যাতন মামলা করতে নির্দেশ দেন। ওসি আবদুস সালাম তাদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। পাশাপাশি ওসি আবদুস সালাম খাদিজা শিমুকে সাদমান সাকিবের পাসে বসিয়ে ছবি তোলার চেষ্টা করেন এবং ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। একপর্যায়ে এসআই সাখওয়াত ও এসআই দেলোয়ার হোসেন, আটক সাদমান সাকিব ও জাকিরের পরিবার থেকে ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে সাদা কাগজে মুসলেকা নেয় এবং দুজনকে মামলার ভয়-ভীতি দেখিয়ে শিখানো কথা দিয়ে ভিডিও ধারণ করেন। একই সঙ্গে ওসি আবদুস সালাম কেড়ে নেয় মোবাইল ফোন। কোনো জব্দ তালিকা না দেখিয়ে মোবাইল রেখে তাদের ছেড়ে দেন। পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়ে কোনো প্রতিকার না পেয়ে উল্টো পুলিশ কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হয়ে মো. জাকির হোসেন, দুমকী থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুস সালাম, এসআই দেলোয়ার, এসআই সাখাওয়াত হোসেনসহ ঘটনায় জড়িত ১০ জনের বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা দায়ের করেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ওসি আবদুস সালাম বলেন, মামলা হয়েছে আদালতে সত্যি মিথ্যা যাচাই-বাছাই হবে এতে আমার কোনো মতামত নেই। পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, মামলার বিষয়ে আমি অবহিত আছি। যেহেতু মামলাটি তদন্তাধীন আছে আদালতই সত্য মিথ্যা যাচাই করবেন।

সর্বশেষ খবর