নেত্রকোনায় প্রতিনিয়ত ঘটছে হানাহানি। বাড়ছে সামাজিক দূরত্ব। চলছে পাল্টাপাল্টি মামলা, হামলাও। সদর, পূর্বধলা, বারহাট্টা, দুর্গাপুর, মোহনগঞ্জ, মদন, কেন্দুয়া উপজেলায় হানাহানি বেশি। সচেতন মানুষের মতে এসবের মূলে সামাজিক অবক্ষয়। জখম নিয়ে ময়মনসিংহ কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজে পাঁচ দিন থাকার পর ১৪ অক্টোবর মারা যান দুর্গাপুরের বারোমারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চন্দন কুমার দাস (৫৭)। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এ বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। বুধবার রাতে শিক্ষকের বড় বোন ভাইয়ের স্ত্রী শেলি সরকারের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। পুলিশ মৃতের স্ত্রীকে আটক করে জেলহাজতে পাঠায়। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে ৩০ আগস্ট রাতে জেলা সদরের জামটি গ্রামে দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে সাবেক মেম্বার দুজাহানকে হত্যা করে। ৫ সেপ্টেম্বর মদনে পূর্ববিরোধের জেরে রুদ্রশ্রী গ্রামে পিটিয়ে হত্যা করা হয় পাশের ত্রিয়শ্রী ইউনিয়নের শিবপাশা গ্রামের কৃষক হারুন চৌধুরীকে (৬০)। ১৩ সেপ্টেম্বর সদরের চল্লিশাকান্দায় পাওনা টাকা চাওয়া কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীর আলম (২১) নামে একজনকে পিটিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষের লোকজন। প্রতিনিয়ত জেলার কোনো না কোনো এলাকায় ঘটছে হামলা-সংঘর্ষ। নেত্রকোনা পুলিশের মুখপাত্র অ্যাডিশনাল এসপি হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে এসব হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে অনেক ক্ষেত্রে মামলা না হলেও আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। এসব অপরাধ কমিয়ে আনতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সবার সচেতনতাবোধ।’