বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের পল্লী থেকে প্রায় ৭ মাসেও পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি অপহৃত অলিয়ার রহমান ডাকুয়াকে। তবে অপহরণের ঘটনায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ এ পর্যন্ত ৫ জনকে আটক করলেও অপহৃত উদ্ধার না হওয়ায় পরিবারটি নানা শংকায় রয়েছেন।
মামলার বিবরণ ও পুলিশ জানায়, জমিজমা সংক্রন্ত বিরোধের জের ধরে চলতি বছরের ১ এপ্রিল সকালে মোড়েলগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ তেলিগাতি গ্রামের মৃত আ. মালেক ডাকুয়ার ছেলে অলিয়ার রহমান ডাকুয়াকে (৪৮) কৗশলে একই উপজেলার দক্ষিণ গাজীর ঘাট গ্রামের রস্তম আলী খানের নেতৃত্বে একদল সংঘদ্ধ অপহরণ করে খুলনায় নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার কোন সন্ধান পাচ্ছে না পরিবার। অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে অপহৃতার স্ত্রী ফাতেমা বাদী হয়ে গত ২২ জুন মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে মোড়েলগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর ২২ জুলাই এজাহার ভুক্ত আসাসি রস্তম আলী খানকে খুলনা থানার হরিনটানা এলাকা থেকে পুলিশ আটক করে। আলোচিত এই মামলটি বর্তমানে খুলনা সিআইডি পুলিশের তদন্তনাধীন রয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) পুলিশের এসআই আবু হেনা মোস্তাফা জামান মুঠোফোনে জানান, মঙ্গলবার বিকালে অভিযান চালিয়ে বাগেরহাট থেকে মামলার এজাহারভুক্ত আসাসি মোড়েলগঞ্জ উপজেলার তেলিগাতি গ্রামের আ. রশিদ হাওলাদারের ছেলে ইয়াকুব হাওলাদার (৪৯) ও আতিয়ার হাওলাদার(৪৮), মোকাম্মেল গাজীর ছেলে হারুন গাজী (৪০), রশিদ ডাকুয়ার ছেলে সবুজ ডাকুয়াকে(২০) আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আগামী রবিবার তাদের রিমান্ড শুনানি হবে।
এদিকে, মামলার বাদী অপহৃতার স্ত্রী ফাতেমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, মামলা দায়েরের পর থেকে তাদের পরিবারের প্রতি হুমকি অব্যহত রয়েছে। এমনকি তার স্কুল কলেজ পডুয়া সন্তানেরাও চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি তার স্বামীকে ফিরে পাওয়ার জন্য প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/২৩ অক্টোবর, ২০১৫/মাহবুব