একের পর এক সাগরে মাছধরা ট্রলারে ডাকাতি, জেলেদেরকে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলার হাতিয়ায় জলদস্যুদের খোঁজে পুুলিশ-কোস্টগার্ডের যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
শুক্রবার দুপুর থেকে দুর্গম ঠেঙ্গার চরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মো. মাইন উদ্দিনের নেতৃত্বে কোস্টগার্ড ও পুলিশ সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করছে। এ পর্যন্ত জলদস্যুদের আস্তানা থেকে ৫জনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩৯ রাউন্ড গুলি, জেলেদেরকে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ের কাজে ব্যবহৃত ৮টি সিমকার্ড ও একটি ট্রলার জব্দ করা হয়।
ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার দুর্গম চরে গত চার দশকে অন্তত ২০টি জলদস্যু বাহিনী তাদের আস্তানা গড়ে তোলে। হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজি, নৌ ডাকাতিসহ নানা অপকর্ম চালায় এসব দস্যু বাহিনী। ২০১৩ সালে পুলিশের অভিযানের সময় বন্দুকযুদ্ধ ও গণপিটুনীতে বাহিনী প্রধানসহ অন্তত ২০ দস্যু নিহত হয়। বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক করা হয় অর্ধশত জলদস্যুকে। এ সময় প্রশাসন নোয়াখালী উপকূলকে জলদস্যুমুক্ত এলাকা ঘোষণা করলেও আত্মগোপনে থাকা দস্যুরা চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে আবার সক্রিয় হয়ে উঠে।
বঙ্গোপসাগরের সাঙ্গু গ্যাসক্ষেত্র, সন্দীপ ও কুতুবদিয়া চ্যানেলে প্রায়ই মাছধরা ট্রলারে ডাকাতি, জেলেদের ওপর হামলা, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনা ঘটিয়ে চলছে এসব জলদস্যু বাহিনী।
জেলেরা জানান, গত দুই বছরে জলদস্যুদের হাতে অন্তত ১০ জেলে খুন হরেছে। দস্যুদের হামলায় জাল, নৌকা সব হারিয়ে অনেক জেলে এখন পথে বসেছে।
হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/২৩ অক্টোবর, ২০১৫/মাহবুব