চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রলীগের দু'জন কর্মীকে গ্রপ্তারের প্রতিবাদে থানা ঘেরাও ও থানার শহীদ হাসান চত্বরে ককটেল হামলা করেছে ছাত্রলীগের কর্মীরা। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপও করে। ছাত্রলীগের ওই দুই কর্মীকে গ্রেপ্তারের কথা পুলিশ অস্বীকার করায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে ছাত্রলীগের দাবী।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সাতগাড়ি গ্রামের সাঈদ আলীর ছেলে আশাদুল হক ও একই গ্রামের বিশারত আলীর ছেলে খালিদ মাহমুদকে গ্রপ্তোর করে পুলিশ। তাদের দুজনের বিরুদ্ধেই মারামারি ও ভাংচুর ঘটনার একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া দুজনের বিরুদ্ধেই আদালত থেকে গ্রপ্তোরি পরোয়ানার আদেশ আছে।
ছাত্রলীগের ওই দুই কর্মীকে গ্রপ্তোরের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে একদল ছাত্রলীগ কর্মী চুয়াডাঙ্গা সদর থানার সামনে শহীদ হাসান চত্বরে এসে ককটেল হামলা করে। এর প্রতিক্রিয়ায় পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। পরে খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের এমপি জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক ছেলুন থানায় এলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। গ্রেপ্তারকৃতদেরকে আজ শুক্রবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রুবাইদ বিন আজাদ সুস্তির জানান, ছাত্রলীগের এক সদস্য ও এক কর্মীকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যাওয়ার পর আমরা নিশ্চিত হওয়ার জন্য থানায় ফোন করি। থানা থেকে বলা হয়, তারা কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। আমরা নিশ্চিত হয়েছিলাম, পুলিশ তাদেরকে আটক করেছে। আটকের বিষয়টি পুলিশ অস্বীকার করার কারণেই থানার সামনে বিক্ষোভ করতে আমরা বাধ্য হই।
বিডি-প্রতিদিন/৪ ডিসেম্বর ২০১৫/শরীফ