নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সুমন মিয়া (৩৩) নামে এক যুবককে গলাকেটে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার ভোরে উপজেলার তারাব পৌরসভার গন্ধর্বপুর এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন। সুমন মিয়া ওই এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সকালে গন্ধর্বপুর এলাকার রাস্তার উপরে সুমন মিয়ার গলাকাটা মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ওই যুবকের মৃতদেহটি উদ্ধার করে। তবে, ভোরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়।
সুমনের বাবা গিয়াস উদ্দিন জানান, সুমন বৃহস্পতিবার রাত ৭টার দিকে রাতের খাবার খেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরেনি।
নিহতের পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, গত ৭ বছর আগে একই এলাকার রিয়াজ উদ্দিন মুহুরীর মেয়ে রুবিনা আক্তারের সঙ্গে সুমন মিয়ার প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের নিঝুম নামে একটি মেয়ে সন্তান হয়। পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে রুবিনা আক্তারের সঙ্গে সুমন মিয়ার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এছাড়া সুমন মিয়া প্রায় সময়ই মানসিক রোগে আক্রান্ত থাকে।
অপর দিকে, সুমন মিয়া ও তার বোন তাহমিনা আক্তারকে ছোট রেখে তাদের মা উম্মে কুলসুম কর্মজীবনের তাগিতে কুয়েত চলে যান। এরপর বাবা গিয়াস উদ্দিন দ্বিতীয় বিবাহ করেন খোদেজা বেগম নামে একজনকে। ওই মায়ের কাছেই সুমন মিয়া ও বোন তাহমিনা আক্তার বড় হন। তাহমিনা আক্তারের বিয়ে হয় গোলাকান্দাইল এলাকায়।
তাহমিনা আক্তার জানান, পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে সুমন মিয়ার সঙ্গে সৎ মা খোদেজা বেগমসহ পরিবারের লোকজনের ঝগড়া-ঝাটি হতো। এতে প্রায় এক বছর ধরে তাহমিনা তার বাবার বাড়িতে আসেননা।
সৎ মা খোদেজা বেগম জানান, প্রায় সময় মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়তো সুমন মিয়া। এছাড়া তাকে সব সময়ই নিজের ছেলে হিসেবে তিনি দেখেছেন। এছাড়া প্রতিদিন রাতে বাড়ি থেকে ভাত খেয়ে বের হয়ে সকালে ফের বাড়িতে আসতো। তবে, ৭/৮ মাস আগে ঢাকার একটি মেয়ে সুমনকে বিয়ে করতে চেয়েছিলো।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৪ ডিসেম্বর ১৫/ সালাহ উদ্দীন