বৃহত্তর যশোরকে নিয়ে পৃথক ‘‘যশোর বিভাগ” ঘোষণার দাবিতে মাগুরা জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদ প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে যশোর বিভাগ আন্দোলন পরিষদ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পরিষদের নেতৃবৃন্দ মাগুরা জেলা প্রশাসক মুহ. মাহবুবর রহমান এবং জেলা পরিষদ প্রশাসক অ্যাড. সৈয়দ শরিফুল ইসলামের কাছে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন যশোর বিভাগ আন্দোলন পরিষদের আহবায়ক প্রকৌশলী মো. আব্দুস সাত্তার, সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান খান, বাঘারপাড়া জাতীয় পাটির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গির আলম, বাঘারপাড়া আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খাইরুল ইসলাম, পরিষদের মাগুরা জেলা আহবায়ক সাংবাদিক আবু বাসার আখন্দ, অলোক বোস, অরুন শীল, আরাফাত হোসেন, মুশফিকুর রহমান প্রমুখ।
স্বারকলিপি প্রদান শেষে জেলা প্রশাসক মাগুরা তথা বৃহত্তর যশোরের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচী নিয়ে প্রতিনিধিদলের সাথে আলাপচারিতা করেন। এরপর প্রতিনিধি দল মাগুরা জেলা পরিষদের প্রশাসক অ্যাডভোকেট সৈয়দ শরিফুল ইসলামের কার্যালয়ে গিয়ে অনুরূপ স্বারকলিপি প্রদান করেন।
বৃহত্তর যশোর বাংলাদেশের একটি অতি প্রাচীনতম জেলা। ১৫৭৬ সালে যশোর রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৭৮১ সালে অবিভক্ত বাংলার প্রথম জেলা হিসাবে যশোর আত্মপ্রকাশ করে। সেই সময় বৃহত্তর খুলনা, যশোর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, কুষ্টিয়ার কিছু অংশ এবং বর্তমানে ভারতের বনগাঁসহ ২৪ পরগনার কিছু অংশ যশোর জেলার অধীন ছিল। ১৮৬৪ সালের ১ আগষ্ট গঠিত হয় যশোর পৌরসভা। কলকাতা ও হাওড়ার পরেই যশোর পৌরসভার স্থান ছিল। এই যশোর ছিল কলকাতা প্রেসিডেন্সি বিভাগের আওতাধীন। স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ১৯৪৭ সালে বৃটিশের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জনের পর যশোর ক্রমান্বয়ে তার মর্যাদা হারাতে বসে, কাল পরিক্রমায় বিভিন্ন সময়ে যশোরের একাধিক মহকুমা ও থানাকে আশপাশের জেলার সাথে যুক্ত করায় যশোর নামের রাজ্যটি এখন পরিত্যক্ত সংকীর্ণ জেলায় পরিণত হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/১৭ ডিসেম্বর, ২০১৫/মাহবুব