লক্ষ্মীপুরে আজ মঙ্গলবার বেলা ১২টায় আইনজীবী সমিতির নতুন ভবন নির্মাণকে কেন্দ্র করে আইনজীবী ও আদালত কর্মচারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুই আইনজীবী, আদালত কর্মচারীসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
এছাড়া ভাংচুর করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দরজা জানালা। পরে র্যাব, পুুিলশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এ সময় জেলা ও দায়রা জজ এবং চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে বদলির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন আইনজীবীরা।
আদালত সুত্রে জানা যায়, জেলা আইনজীবী সমিতির নতুন সম্প্রসারিত ভবন নির্মাণে আদালত কর্তৃক বাধা দেয়ায় জেলা ও দায়রা জজ, চিফ জুডিসিয়াল, এ ডি এম আদালত অনির্দিষ্টকালের জন্য বর্জন করে আইনজীবীরা। আদালত বর্জনের আজ ৩য় দিনেও সব কয়টি আদালতের কর্মচারী ও বিচারকরা কার্যক্রম অব্যহত রাখেন।
বেলা ১২টায় আইনজীবীরা বিচারকদের বদলির দাবিতে আদালত বারিন্দায় বিক্ষোভ মিছিল করে। এসময় আদালত কর্মচারী ও আইনজীবীদের সঙ্গে বাক বিতণ্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ হয়। ভাংচুর করা হয় আদালতের দরজা জানালা, আহত হন অ্যাডভোকেট আশিকুর রহমান, আদালত কর্মচারী আব্দুল মতিন, আইয়ুব আলী, ইমাম হোসেন, সুদেব চন্দ্র মালী, আব্দুর রহমান, শওকত হোসেন, কাজল হোসেন, নূরনবী ও এমরান হোসেন। পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য কোর্ট এলাকায় অতিরিক্তি পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।
পরে র্যাব, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এসে আইনজীবীদের সরিয়ে দেন। এসময় আইনজীবীদের ওপর হামলা ও বিচারকদের বদলীর দাবিতে আইনজীবিরা বিক্ষোভ মিছিল করে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষানা দেন।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সারোয়ার আলম ও আদালত কর্মচারী ইমাম হোসেন মিন্টু অভিযোগ করে বলেন, আইনজীবীরা বিক্ষোভ মিছিল করে তাদের ওপর হামলা করে দরজা-জানালা ভাংচুর করে।
তবে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিক উল্লাহ পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, আদালত কর্মচারীরা আইনজীবীদের ওপর হামলা করে, এসময় বেশ কয়েকজন আইনজীবী আহত হন।
এর আগে রবিবার থেকে আইনজীবি সমিতির নতুন ভবন র্নিমাণে আদালত কতৃক বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করে আসছে আইনজীবীরা। আইনজীবীদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৫ জানুয়ারি, ২০১৬/ রশিদা