ফেনীর মহিপালে সম্পত্তির দখল নিতে আসা দুর্বৃত্তদের ছোঁড়া গুলিতে শিশু ও স্কুলছাত্রীসহ তিনজন নিহতের মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। ফেনীর সিআইডির পরিদর্শক এনামুল হক মামলার তদন্তভার মঙ্গলবার গ্রহন করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) শাহিনুজ্জামান সিআইডিতে মামলাটি হস্তান্তরের সত্যতা স্বীকার করে জানান, এই পর্যন্ত মামালার এজহারভুক্ত ৮ আসামিসহ ৯জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইমরান হোসেন ও আরিফুর রহমান নামে দুই আসামি হত্যাকাণ্ডে তাদের সম্পৃক্ততার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার অসামি স্বপন চৌধুরীর বাড়ি থেকে একটি শটগান ও ২৩ রাউন্ড কার্টুজ ও মিঠু চৌধুরীর বাড়ি থেকে একটি বিদেশি বন্দুক ও ১৫ রাউন্ড কার্টুজ জব্দ করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে দুটি অস্ত্র হত্যাকান্ডে ব্যবহার করা হয়েছে বলে প্রতিয়মান হয়েছে। আদালতের নির্দেশে অস্ত্র ও গুলি পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য চট্রগ্রামের ফরেনসিকে প্রেরণ করেছেন।
প্রসঙ্গত; ২৪ ডিসেম্বর রাতে মহিপাল হেঞ্জু হাজি বাড়ির ৬২শতক জমির দখল নিতে আসা অস্ত্রধারীদের শতাধিক রাউন্ড গুলিতে নবম শ্রেণির ছাত্রী আকলিমা আক্তার (১৫), তার খালু মাঈনুদ্দিন (৫৫) ও একদিন পরে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারুফ (৬) নিহত হন। ঘটনার সময় দুইজন গুলিবিদ্ধ হন। সন্ত্রাসীদের ৪০-৪৫ জনের একটি দল ৭-৮টি শটগান ও বন্দুক দিয়ে ঘটনার রাতে ওই এলাকায় শতাধিক গুলি ছোঁড়ে। ঘটনার পর মাঈউদ্দিনের ছেলে নয়ন (৩৫) ফেনী মডেল থানায় মান্নান, জহির চৌধুরী, স্বপন চৌধুরী, মিঠু চৌধুরী, সাহেদ চৌধুরী ও ফারুক চৌধুরীসহ ২১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরো ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৩ জানুয়ারি ১৬/ সালাহ উদ্দীন