কুড়িগ্রাম জেলার ৯ উপজেলায় এবারে নির্ধারিত বরাদ্দের চেয়ে অতিরিক্ত বই লাগবে আড়াই হাজার সেট।
জানাগেছে, কুড়িগ্রাম জেলায় এবারে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের জন্য চাহিদা অনুযায়ী সরকার বই বরাদ্দ দেয় মোট ১৮ লক্ষ ৮১ হাজার ৮শ ৮৮ সেট।
উপজেলার বরাদ্দ অনুযায়ী উলিপুর উপজেলার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ৩ লক্ষ ৬৯ হাজার ৯শ সেট, সদর উপজেলার জন্য ২ লক্ষ ৬৮ হাজার ৫শ সেট, চিলমারীর জন্য ১ লক্ষ ২৩ হাজার ১শ ৮০ সেট, নাগেশ্বরী উপজেলার জন্য ৩ লক্ষ ৬৪ হাজার ৫শ, ফুলবাড়ির জন্য ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ৭শ, ভুরুঙ্গামারীর জন্য ১ লক্ষ ৮৩ হাজার ৩শ ৬০, রাজারহাট উপজেলার জন্য ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৫শ ৪৮, রৌমারীর জন্য ২ লক্ষ ৫ হাজার ৫শ এবং রাজীবপুর উপজেলার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ৭১ হাজার ৭শ সেট।
সরকার প্রেরিত নির্ধারিত বরাদ্দের বই দিয়ে ইতিমধ্যে ৯ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতকরা ৮০ ভাগ শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেয়া হয়েছে। বই বিতরণ চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। কারণ ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ১ম শ্রেণি হতে ৫ম শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবে।
জেলার ৩ উপজেলায় মোট প্রায় আড়াই হাজার সেট বই নতুন করে বরাদ্দ দেয়া গেলে কুড়িগ্রামের সকল উপজেলার প্রাথমিকের শত ভাগ শিক্ষার্থীর হাতে সরকার প্রদত্ত বিনা মুল্যের বই পৌঁছে যাবে। নির্ধারিত বরাদ্দের অতিরিক্ত চাহিদা রয়েছে যে ৩ টি উপজেলায় তা হচ্ছে রাজীবপুর উপজেলা, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলা।
অতিরিক্ত বইয়ের চাহিদা নিয়ে কথা হলে রাজীবপুর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (টিও) স্বপন কুমার সুত্রধর জানান, এবারে যে ভাবে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হচ্ছে তাতে আমার উপজেলার নির্ধারিত বরাদ্দের চেয়ে আরো ৪শ সেট বই বেশী লাগবে।
ভুরুঙ্গামারী উপজেলার (ভারপ্রাপ্ত) প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (টিও) মুকুল চন্দ্র জানান,তার উপজেলায় ১ম, ২য় ও ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ৫শ সেট করে মোট ১হাজার ৫শ সেট বইয়ের চাহিদা রয়েছে।
জেলা শিক্ষা অফিসের ক্যাশিয়ার মোজাম্মেল হক জানান, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার অতিরিক্ত আরো ৪শ সেট বইয়ের চাহিদা পত্র আমরা পেয়েছি। এছাড়াও ভুরুঙ্গামারী ও রাজীবপুর উপজেলার অতিরিক্ত বইয়ের চাহিদা পত্র প্রাপ্তির কথাও তিনি স্বীকার করেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ২০ জানুয়ারি ১৬/ সালাহ উদ্দীন