লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় কলার আড়তগুলোতে রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে কলা পাকানোর গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা বলছেন, রাতে রাসায়নিক মিশ্রিত পানির বালতিতে কলা ডুবিয়ে রাখা হয়, আর সকালে এই কলার খোসার রং হয়ে যায় হলুদ। চিকিৎসকেরা বলেন, নিয়মিত কয়েকমাস রাসায়নিক মিশ্রিত কলা খেলে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রায়পুর উপজেলায় প্রায় ১৪টি কলার আড়ত রয়েছে। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সাত-আট ট্রাক কলা আনেন আড়তদাররা। শহরের পীর ফয়জুল্লাহ সড়কের তিনটি ও হায়দরগঞ্জের ১টি আড়ত ঘুরে দেখা গেছে, রাতে আড়তগুলোতে কাঁচা কলা আসছে আর সকালে সেই কলাই পাকিয়ে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। কলা পাকানোর আড়তগুলোর মধ্যে রয়েছে, জহির হোসেনের আড়ত, আব্দুল মান্নানের আড়ত, মোঃ জিয়ার আড়ত ও শফিকুল ইসলামের আড়ত।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কলা ব্যবসায়ী জানান, শীতে কলা পাকতে কয়েকদিন সময় লেগে যায়। অল্প সময়ের মধ্যে কলা পাকাতে গভীর রাতে আড়তদাররা রাসায়নিক মিশ্রিত পানির বালতিতে কাঁচা কলা ডুবিয়ে রাখেন। এতে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কলার খোসার রং হলুদ হয়ে যায়। এ কলার রং চকচকে থাকে। ক্রেতারা এ কলা দেখেই আকৃষ্ট হয়ে তা কেনেন।
মীরগঞ্জ রোডের বাসিন্দা সেলিম হোসেন বলেন, গভীর রাতে আড়তগুলোতে ট্রাকে করে কাঁচা কলা আসে। রাসায়নিকের কারণে সকালে এগুলো হলুদ রং এর হয়ে যায়।
জানতে চাইলে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার শাহরিয়ার শায়লা জাহান বলেন, কলার ভেতরে রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো অপরাধ। রাসায়নিক মেশানো কলা খেলে ক্যন্সার হবার আশঙ্কা থাকে। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/৪ জানুয়ারি ২০১৭/হিমেল