কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার বড় শালঘর ইউএমএ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু-গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, বাড়ি-ঘর,দোকান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। শনিবার এই সংঘর্ষের ঘটনায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মো. ইকরাম হোসেন শিসন মৈশানের নেতৃত্বে ৫ জনের একটি প্যানেল এবং মো. ইউনুছ চৌধুরীর নেতৃত্বে অপর প্যানেল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। বড় শালঘর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম ঝারু মৈশানের পক্ষ নেন। মৈশানের পক্ষে পাশের ছোট শালঘরের শাহাদাত হোসেনের ছেলে নাজমুলের নেতৃত্বে ভোট কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করা হয়। সংবাদকর্মীদের গাড়ি কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেয় নাজমুল। ওই কেন্দ্রে প্রবেশে স্থানীয় এমপির নিষেধ রয়েছে বলে জানায়। তারা সৈয়দপুর বাজারে ইউনুছ মাস্টার গ্রুপের এক সমর্থকের উপর হামলা, ২টি দোকান ও ১টি মটরসাইকেল ভাঙচুর করে। ওই সময় দু-গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ইউনুছ মাস্টার গ্রুপের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ মান্নান, সাব্বির হোসেন, এনামুল, আ. মতিন ও সিরাজুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়।
এদিকে জহিরুল ইসলাম জারু চেয়ারম্যান’র গ্রুপের সমর্থকরা জানান, ইউনুছ মাস্টারের সমর্থকরা জারু চেয়ারম্যানের দুই সমর্থক হাজী মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মুনসুরুল ইসলামের বাড়ি ও দোকানে হামলা চালায়।
শিবপুর গ্রামের রোস্তম আলী বলেন, ভোট দিতে গিয়ে দেখি জোর করে ভোট নিয়ে যাচ্ছে। তাই ফিরে আসি। আমার ভোট তারাই দিয়ে দিচ্ছে।
নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনোয়ারুল হালিম বলেন, এভাবে নির্বাচন হতে পারে না। নির্বাচন স্থগিত করে মালামাল উপজেলা সদরে নিয়ে এসেছি।
দেবিদ্বার থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, হামলায় দুই/তিন জন লোক আহত হয়েছে বলে শুনেছি। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে নতুন নির্বাচনের তারিখ দেয়া হবে। তিনি অভিযুক্ত নাজমুলসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও কথা বলেন।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ