পাবনার সাথিয়ায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও এক পথচারী গুলিবিদ্ধ এবং দুই পুলিশসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় উপজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ ও কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেন।
সাথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, সাথিয়া পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা মিরাজুল ইসলামের নামে সম্প্রতি দায়ের করা একটি মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে তার সমর্থকরা রবিবার বেলা ১১টার দিকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় মিছিলটি সাথিয়া পৌর এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে বাজার এলাকায় গেলে প্রতিপক্ষরা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের শুরু হয়। এক পর্যায়ে দুই গ্রুপ দুই পাশে অবস্থান নিয়ে একে অপরের দিকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও গোলাগুলি শুরু করে। পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ ও কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।
গুলাগুলির সময় মারুফা খাতুন নামের এক পথচারী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক তপন হায়দার সান গুলিবিদ্ধ ও দুই পুলিশ সদস্যসহ ১৫ জন আহত হয়। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ওসি আরো জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ১৮ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ও ১২ রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করা হয়।
এ সময় সাথিয়া বাজারে মূহুর্তের মধ্যে দোকান পাট বন্ধ হয়ে যায়। এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সাথিয়া বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তপন হায়দার সান বলেন, মেয়র মিরাজের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিলসহ আমার বাড়িতে ইট পাটকেল ও গুলি বর্ষণ করেন। আত্মরাক্ষার্থে আমার লোকজনও তাদের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় ওই গ্রুপের লোকজনের ছোড়া একটি গুলি আমার পায়ে এসে লাগলে আমার লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। ইতিপূর্বে গত ২৮ ডিসেম্বর মেয়র মিরাজের সমর্থকরা আমার ব্যাক্তিগত কার্যালয় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। তারা আবারো সাথিয়ায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে সাথিয়া পৌর মেয়র মিরাজুল ইসলাম বলেন, সানের লোকজন পরিকল্পিতভাবে আমার লোকজনের উপর হামলা করেছে। দলীয় প্রভাব বিস্তার করে আমাদের মামলা হামলার মাধ্যমে কোনঠাসা করতে চায়। আমি বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছি বলে বুঝতেও পারছি না। তবে সান নিজেই এসব অপকর্ম করে আমার কর্মী সমর্থকদের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছেন।
বিডি-প্রতিদিন/০৮ জানুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব