বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীসহ আশপাশের এলাকায় মোটরসাইকেলে যাত্রীসেবা দিয়ে স্বাবলম্বী হতে চলেছেন প্রায় পাঁচশ’ বেকার যুবক। জনবহুল ও রাবার চাষের জন্য বিখ্যাত এই দুর্গম এলাকার চাকুরিজীবী, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের প্রিয় বাহন এখন ভাড়ায়চালিত মোইরসাইকেল।
সময় মতো মানুষকে গন্তব্যে পৌঁছে দিয়ে এলাকার মানুষকে সহযোগিতার পাশাপাশি নিজেও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার এই স্বপ্ন প্রথম দেখেন দক্ষিণ বাইশারীর মোহাম্মদ ছিদ্দিক। বছর তিনেক আগে দেখা তার এই স্বপ্ন প্রভাবিত করে এলাকার অন্য বেকার যুবকদের। ছিদ্দিকের দেখানো পথ ধওে এখন উপজেলার ৫ ইউনিয়নের প্রায় পাঁচশ’ যুবক সকাল-সন্ধ্যা মোটর সাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। অনেকে ইতোমধ্যে হয়েছেন স্বাবলম্বীও।
এদিকে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে যাত্রীসেবার বিষয়টি জনপ্রিয় হয়ে উঠলে অনেকে এনজিও সংস্থা থেকে ঋণ নিয়েও এই পেশায় যোগ দিয়েছেন। দুর্গম পাহাড়ী এলাকার সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী ও এখানকার সাধারণ মানুষও এখন এই সেবার উপর অনেকটা নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন। মূলত নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছে নির্ধারিত কাজটি সঠিক সময়ে সম্পন্ন করার তাগিদ থেকেই এই মোটরসাইকেল সেবা অল্পতেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে বলে জানান সেবাগ্রহীতারা।
এলাকার বিদেশ ফেরত দুই যুবক ছৈয়দ হোসেন ও তাসমিন আলম জানান-মধ্যপ্রাচ্য থেকে ফিওে এসে অনেকদিন বেকার থাকার পর কোন উপায়ন্তর না দেখে এ কাজে আগ্রহী হয়ে পড়ি। এতে ভালই রোজগার হচ্ছে। তারা মোটর সাইকেলে কওে বাইশারী, ঈদড়গড়, ঈদগাঁও সড়ক, গর্জনিয়া, নাইক্ষ্যংছড়ি সড়ক এবং নিজেদের ইউনিয়নের সড়কগুলোতে নিয়মিত যাত্রীসেবা দিয়ে থাকেন বলে জানান।
তবে মোটরসাইকেল চালক আনোয়ার হোসেন বলেন, এই সেবাকে নিরাপদ ও যাত্রীদের নিরাপত্তার তাগিদে সাংগঠনিক ভিত্তি দেওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতাও জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ