বাগেরহাটের মংলা বন্দরের সুন্দরবনের হাড়বাড়িয়া এলাকার পশুর চ্যানেলে কার্গো ডুবির ৩৬ ঘণ্টা পার হলেও (মঙ্গলবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত) উদ্ধার অভিযান শুরু হয়নি। সোমবার ভোরে বন্দরের পশুর চ্যানেলে সুন্দরবনের হাড়বাড়িয়ার ৪ নম্বর এ্যাংকোরেজে অবস্থানরত এম.ভি ‘আতিকিএসবি’ নামক বিদেশী জাহাজ থেকে সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল বোঝাই করে যাওয়ার সময় কার্গোটি ডুবে যায়।
সুন্দরবনের পশুর চ্যানেলে কার্গো ডুবির ঘটনা ও সুন্দরবনের ক্ষতি নিরূপনে খুলনা বিভাগের পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক হাবিবুল হক খানের নেতৃত্বে একটি দল মঙ্গলবার দুপুরে ডুবে যাওয়া এলাকা পরিদর্শন করেন। প্রতিনিধি দলটি কার্গোটি ডুবে যাওয়ার স্থানের পানির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করেন। এসময়ে পূর্ব সন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সাইদুল ইসলাম তাদের সঙ্গে ছিলেন।
এদিকে, পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের এসিএফ মেহেদীজ্জামানকে প্রধান করে বন বিভাগের তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার সকাল থেকেই সুন্দরবনের জলজ সম্পদসহ জীববৈচিত্র্যের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি নিরূপনে কাজ শুরু করেছে।
মংলা বন্দর হারবার মাস্টার কমান্ডার ওয়ালিউল্লাহ জানান, বন্দর কর্তৃপক্ষ কার্গোটি পশুর চ্যানেল থেকে অপসারণের জন্য মালিক মনিরুজ্জামানকে ১৫ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে। অন্যথায় মংলা বন্দরের নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/ ৬ জুন, ২০১৭/ফারজানা