বিএডিসি বীজ খামার থেকে গম বীজ পাচার হওয়া ঘটনায় যুগ্ম পরিচালক মোফাজ্জল হোসেনসহ ৩ জনকে বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষ এডিশনাল জেনারেল ম্যানেজার ইকবাল হোসেনকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, বিএডিসি দিনাজপুর অঞ্চলের বীজ সংরক্ষণ এর যুগ্ম পরিচালক আলতাফ হোসেন ও সার বিপণনের যুগ্ম পরিচালক আ.ফ.ম আফরোজ আলম।
তদন্ত টিমের সদস্য বিএডিসি দিনাজপুর অঞ্চলের বীজ সংরক্ষণ এর যুগ্ম পরিচালক আলতাফ হোসেন জানান, পাচার করা ১৬০ বস্তা গম জব্দ করার পর ২৭ জুন রাতেই খামারের সব গুদাম সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। বিএডিসি কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করেছেন। এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। ওই ঘটনায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) দিনাজপুর অঞ্চলের নশিপুরভিত্তিক পাটবীজ খামার থেকে বীজ গম পাচারের অভিযোগে যুগ্ম পরিচালক কৃষিবিদ মোফাজ্জল হোসেনসহ ৩ জনকে বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। বরখাস্তকৃত অন্যরা হলেন, উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) জাহাঙ্গীর আলম ও স্টোর কিপার আমজাদ হোসেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধায় এক ফ্যাক্স বার্তায় বিএডিসি’র সচিব তুলসি চন্দ্র এই বহিস্কারের আদেশ দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
অভিযুক্ত খামারের যুগ্ম পরিচালক কৃষিবিদ মো. মোফাজ্জল হোসেন পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত টিম গঠিত হয়েছে। তদন্তের পরই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
উল্লেখ্য, নশিপুরভিত্তিক পাটবীজ খামারের গোডাউন থেকে পাচার হওয়া ১৬০ বস্তা বীজ গম ২৭ জুন মঙ্গলবার দুপুরে আটক করে স্থানীয় জনতা ও খামারের শ্রমিকরা। পরে দিনাজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আব্দুর রহামান’র নেতৃত্বে পুলিশ ও র্যাবসহ প্রশাসন এসব গম জব্দ করে। ঘটনার পর ২৭ জুন রাতেই নশিপুর পাটবীজ খামারের সব গুদাম সিলগালা করে দেয় জেলা প্রশাসন। একটি চক্র এই খামার থেকে দীর্ঘদিন ধরে পণ্য ও মালামাল চুরি এবং পাচারের সঙ্গে জড়িত। এছাড়া খামারের কতিপয় চিহ্নিত কর্মকর্তা ও শ্রমিক নেতা এ পাচারের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
বিডি প্রতিদিন/১ জুলাই ২০১৭/হিমেল