যশোরের ঘোপ নোয়াপাড়া রোড জামে মসজিদের পেছনে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে সেই দোতলা বাড়িটি এখনও ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কুষ্টিয়ার মশিউর রহমান নামের এক ব্যক্তি নিজেকে হারবাল কোম্পানির চাকরিজীবী পরিচয়ে ফ্লাটটি ভাড়া নিয়েছিলেন। মশিউর হলি আর্টিসানে জঙ্গি হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী মারজানের বোন খাদিজার স্বামী বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সোমবার বেলা ১১টা ১৫ মিনিটের দিকে যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান হাত মাইকে খাদিজা ও তার পরিবারের সদস্যদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানান। এর আগে ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া অন্য সাতটি পরিবারকে নিরাপদ দুরত্বে সরিয়ে নেয় পুলিশ। এছাড়াও ঘটনাস্থলে পুলিশ, র্যাব ছাড়াও ঢাকা থেকে আসা সোয়াট, বোমা ডিসপোজাল ইউনিট এবং কাউন্টার টেরোরিজম (সিটিইউ) সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ভবন সংলগ্ন অন্যান্য ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা জানান, ওই বাসার লোকজন খুবই কম বাইরে আসতো, তবে পুরুষ লোকটি মাঝে-মধ্যে বাইরে যেতে দেখা যেতো। ওই বাসায় দুইটি ছেলে এবং একটি মেয়ে শিশু রয়েছে। তবে তাদেরকেও অন্যদের সঙ্গে মিশতে দিতো না অবিভাবকরা।
এদিকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, "ওই বাড়িতে ৫টি পরিবার ছিল। তাদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বাড়িটির দ্বিতীয় তলায় জঙ্গি মারজানের বোন খাদিজা রয়েছে। তার সঙ্গে একাধিক শিশু রয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছি। আমরা আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছি।"
বিডি-প্রতিদিন/ ৯ অক্টোবর, ২০১৭/ তাফসীর