কুমিল্লার লাকসামের উত্তরদা ইউনিয়নে চার কিলোমিটার বেহাল রাস্তা ও জলাবদ্ধতার জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ১০ গ্রামের ৪০ হাজার মানুষকে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হন মনপাল এবং তপইয়ার বাসিন্দাদের। কৃষ্ণপুর থেকে তপইয়া-মনপাল হয়ে ষোলদনা সড়কের অধিকাংশ এলাকা আট মাসই জলাবদ্ধ থাকে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, কৃষ্ণপুর থেকে তপইয়া-মনপাল হয়ে ষোলদনা পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার এবং রামপুর থেকে মনপাল হয়ে রাজাপুর পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার রাস্তা যুগ যুগ ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এতে মনপালের সঙ্গে কৃষ্ণপুর,তপইয়া, রাজাপুর, রামপুর, ষোলদনা, মামীশ্বর, কৃষ্ণপুরসহ ১০ গ্রামের মানুষ দুর্ভোগে পড়ছেন। বর্ষায় ওই সব রাস্তা পানিতে ডুবে থাকে। প্রায়ই খানাখন্দে বিভিন্ন যান আটকে থাকে। কষ্ট সহ্য করতে হয় স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদেরও।
স্থানীয় উত্তরদা ইউপি চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ জানান, মনপাল ও তপইয়ার রাস্তার অবস্থা খারাপ। খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতা হয়েও রাস্তার ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া অপরিল্পিতভাবে মাছ চাষ করায়ও রাস্তা ভেঙ্গে পড়ছে। এ বিষয়ে সবার সচেতনতা জরুরি। সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছি।
মনপাল গ্রামের শিক্ষক মাসুদুল হক বলেন, আশপাশের গ্রামের রাস্তা পাকা হলেও মনপালে নেই কোনো পাকা রাস্তা। এতে এ গ্রামের মানুষের চলাচলে ভোগান্তির শেষ নেই।
একই গ্রামের বাসিন্দা লতিফুর রহমান খোকন বলেন, মনপাল-তপইয়ার রাস্তা এতো খারাপ যে গ্রামে রিকশাও আনা যায় না। বর্ষায় নৌকাই একমাত্র ভরসা। এ এলাকায় এবছর আট মাসই রাস্তা পানিতে ডুবে রয়েছে।
তপইয়া গ্রামের বাসিন্দা প্রকৌশলী আরিফুর রহমান জানান, কৃষ্ণপুর থেকে তপইয়া-মনপাল হয়ে ষোলদনা সড়ক পাকাকরণের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন জানিয়েছি। আশা করছি সহসা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে উদ্যোগ নিবেন।
লাকসাম উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ওই এলাকার রাস্তাগুলোর খারাপ অবস্থা সম্পর্কে জেনেছি। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি এগুলো দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নিতে পারবো।
বিডি প্রতিদিন/৩০ অক্টোবর, ২০১৭/ফারজানা