কাশ্মীরের পেহেলগাঁও ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারতের সঙ্গে সংঘাতে আধুনিক যুদ্ধপ্রযুক্তির শক্তি প্রদর্শন করায় পাকিস্তানের ভূয়সী প্রশংসা করেছে চীন। এই যুদ্ধে পাকিস্তান দক্ষিণ এশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষায় এক নতুন মানদণ্ড তৈরি করেছে বলে মনে করছে চীন।
দেশটির সরকারি মহাকাশ সংস্থা সমর্থিত চায়না স্পেস নিউজ প্রকাশিত এক বিশ্লেষণী প্রতিবেদনে পাকিস্তানের বুদ্ধিদীপ্ত ও নেটওয়ার্কভিত্তিক যুদ্ধ কৌশলের এই উচ্চ প্রশংসা করা হয়।
চায়না স্পেস নিউজ বলেছে, পাকিস্তান ‘এবিসি’ নামে যুদ্ধক্ষেত্রে নতুন যে কৌশল ব্যবহার করেছে তাতে যুদ্ধ কৌশলের নতুন দিক উন্মোচন হয়েছে। কৌশল অনুযায়ী ‘এ’ লক্ষ্য ঠিক করে, ‘বি’ হামলা চালায় এবং ‘সি’ গাইড করে।
পাকিস্তানের বিমান বাহিনী গ্রাউন্ড রাডার, ফাইটার জেট এবং আকাশে নজরদারি চালানো ব্যবস্থার সমন্বয়ে ভারতের ছয়টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে বলে দাবি পাক সরকারের।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের ডেটা-চালিত বিকেন্দ্রীকৃত প্রতিরক্ষা কৌশল ভারতের পুরনো ও খণ্ডিত প্রোটোকলকে কার্যত ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে। যদিও প্রতিবেদনে চীনা অস্ত্রের নাম সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি। তবে বিশ্লেষকদের দাবি, এইচকিউ-৯পি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, জেডডিকে-০৩ এডব্লিউএসিএস এবং পিএল-১৫ই মিসাইল সজ্জিত জে-১০সি যুদ্ধবিমান চীনের তৈরি, যা পাকিস্তানের বর্তমান শক্তির মূল স্তম্ভ।
পাকিস্তান ও চীনের এই যৌথ প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব ভবিষ্যতের রণকৌশলের মডেল হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভারতের দুর্বল ইন্টারঅপারেবিলিটি ও মন্থর প্রতিক্রিয়ার বিপরীতে পাকিস্তানের ‘স্মার্ট যুদ্ধনীতি’ এখন এক কঠিন সতর্কবার্তা।
প্রতিবেদনটির শেষাংশে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের বুদ্ধিদীপ্ত ও অপ্রতিরোধ্য কৌশল শুধু ভারতের আকাশ শক্তিকে নিষ্ক্রিয় করেনি, বরং ভবিষ্যতের যুদ্ধ কেমন হবে সেদিকেও আলোকপাত করেছে। সীমান্তে উত্তেজনা যত বাড়ছে, ততই স্পষ্ট হচ্ছে পাকিস্তান ও চীনের মধ্যকার সম্পর্ক পরবর্তী প্রজন্মের যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সূত্র: দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
বিডি প্রতিদিন/একেএ