রাঙামাটিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ২০টি দোকান ও বসতঘর পুড়ে গেছে। আজ দুপুর ১২টার দিকে শহরের আলম ডক ইয়ার্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিস প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সাকির্টের কারণে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে। এ ঘটনায় প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছে ক্ষতিগ্রস্থরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শহরের আলম ডর্ক ইয়ার্ড এলাকায় স্থানীয় জসিম উদ্দিনের ঘরে শর্টসাকির্টের কারণে চলন্ত অবস্থায় বৈদ্যুতিক পাকায় আগুন ধরে যায়। মুহুর্তের মধ্যে এ আগুন আশেপাশের দোকান ও বসতঘরে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। পরে স্থানীয়দের সহায়তা ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট, দুই প্লাটন সেনাবাহিনী ও এক প্লাটন পুলিশ যৌথভাবে চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। কিন্তু এ মধ্যে ৪টি দোকান ও ১৬টি বসতঘর আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
রাঙামাটি পৌর প্যানেল মেয়র মো. জামাল উদ্দীন জানান, হঠাৎ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় প্রায় ২০টি পরিবার আগুনে ক্ষগিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের সব মালামাল পুড়ে গেছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি। সবাই কোন রকম জীবন নিয়ে ঘরের ভিতর থেকে বেরিয়ে এসেছে।
রাঙ্গামাটি জেলা ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের ষ্টেশন মাষ্টার মোহাম্মদ নুরুল কবির জানান, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সাকির্টের কারণে এ আগুনের ঘটনা ঘটতে পারে। তবে তাৎক্ষণিক ভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। ক্ষয়ক্ষতি নিধার্নের কাজ চলছে। অন্যদিকে অগ্নিকান্ডের ঘটনার খবর ফেয়ে শহরের দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসে কয়েক হাজার মানুষ। তাই স্থানীয়দের জানমালের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ পুরো এলাকা নিরাপত্তা জোড়দার করে।
এ ব্যাপারে রাঙামাটি জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাফিউল সরোয়ার জানান, শহরের আলম ডক ইয়ার্ড এলাকায় ঘনবসতিপূর্ণ। তাই সামন্য আগুন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। মুর্হুতের মধ্যে চারপাশে ছড়ি পরেছে। সঠিক সময়ে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও সেনা সদস্যরা না আসলে এ আগুন নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব হতো না। অগ্নিকান্ডের ঘটনার সময় উৎসুক জনতা ভিড়ের কারণে আগুন নির্ভাপনের কাজে সমস্যা হচ্ছিল। তাই পুলিশের নিরাপত্তা জোড়দার করা হয়েছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার