পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সংযোগ সড়কের অভাবে ব্রিজ কোন কাজ আসছে না। উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা বাজারের আরসিসি গার্ডার ব্রিজটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার প্রায় আট মাস আগে। কিন্তু সংযোগ সড়কের কাজ শেষ না হয়নি। ফলে স্থানীয়রা বাধ্য হয়ে প্রতিদিন পাশের ঝূঁকিপূর্ণ লোহার সেতু ব্যবহার করছেন। এতে করে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ সাধারণ মানুষ দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে।
স্থানীয় জানা যায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ রামনাবাদ নদী পাড়ের লালুয়া ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের যোগাযোগ সুবিধার জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর লালুয়া মুক্তিযোদ্ধা বাজার এলাকার নদীতে আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের উদ্দোগ নেয়। এ লক্ষ্যে এলজিইডি ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে ৩ কোটি ৯ লক্ষ ৩৪ হাজার ৭৬২.৪৭ টাকা বরাদ্দে লালুয়া-নীলগঞ্জ ভায়া মিঠাগঞ্জ ইউপি সড়কে ৭২ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ফুটপথ সহ ৭.৩২ মিটার প্রস্থ আরসিসি গার্ডার ব্রিজের দরপত্র আহবান করে। ২১ জানুয়ারী ২০১৬ ব্রীজ নির্মানের কার্যাদেশ দেয় এলজিইডি। এরপর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এ ব্রিজের কাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে ব্রিজের সংযোগ সড়কে কার্পেটিং সড়কের পরিবর্তে হেরিংবন্ড সড়ক অন্তর্ভুক্ত করায় বরাদ্দ কিছুটা কমে এসে দাড়ায় ৩ কোটি ৪ লক্ষ ১৯ হাজার ৬৫২ টাকা। কিন্তু ঠিকাদারী ওই প্রতিষ্ঠানটি গার্ডার ব্রিজের কাজ শেষ করার পর দীর্ঘ দিনেও সংযোগ সড়কের কাজ শেষ না করায় স্থানীয়রা গার্ডার ব্রিজটির সুফল থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।
এদিকে মুক্তিযোদ্ধা বাজারের গার্ডার ব্রীজটি ব্যবহার অনুপযোগী থাকায় সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়ে পুরনো ঝুঁকিপূর্ণ আয়রন ব্রিজ ব্যবহার করছেন। ফলে শিশু, বৃদ্ধ, স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। সপ্তাহ পূর্বে বুড়োজালিয়া বাজারের মাছ ব্যবসায়ী মাহাবুল হাওলাদার মাছ বোঝাই ভ্যান গাড়ি নিয়ে আয়রন ব্রীজ অতিক্রম করার সময় ঝূঁকিপূর্ন ওই আয়রন ব্রীজের কাঠের পাটাতন ভেঙ্গে নিচে পড়ে গিয়ে তার বুকের হাড় ভেঙ্গে যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, এরপরও এলজিইডির তাগিদ নেই সংযোগ সড়কের কাজ শেষ করার।
কলাপাড়া এলজিইডি’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী দেলোয়ার জানান, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত গার্ডার ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শেষ করার সময় রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সংযোগ সড়কের কাজ শেষ করে এটি জনসাধারণকে জন্য খুলে দেয়া হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার