কনকনে হাওয়া ও শৈত্যপ্রবাহে গত ৪ দিন ধরে তীব্র শীত জেঁকে বসেছে লালমনিরহাটে। সকাল থেকে সারাদিন প্রকৃতি ঢাকা থাকছে ঘন কুয়াশার চাদরে। ফলে শৈত্যপ্রবাহে জবুথবু হয়ে পড়েছে লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ। তবে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। সেই সঙ্গে গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়েও বিপদগ্রস্ত অনেকে।
শুক্রবারও সকাল থেকে সারাদিন সূর্যের মুখ দেখা যায়নি জেলায়। সন্ধ্যার পরপরই শহর ও গ্রামের হাট-বাজারের দোকান-পাট বন্ধ হয়ে যায়। রাত ৮-৯টা বাজতেই জনশূন্য হয়ে পড়ে জেলা শহরসহ ছয় উপজেলা শহর ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। আর সকাল থেকে সারাদিনে বিভিন্ন সড়কে চলাচলকারী যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
তীব্র শীতের কারণে শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি-জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে। আক্রান্তরা চিকিৎসা নিতে ভিড় করছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে। তবে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. তপন কুমার জানালেন, পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক রয়েছে। আক্রান্ত রোগীদের ওষুধ, স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় চিকিসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, তীব্র শীতের কারণে তিস্তা ও ধরলা নদের ১৬৩টি চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকার শ্রমজীবী মানুষদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শীত নিবারণের উপায় না থাকায় তারা ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। ঠিকভাবে কাজকর্ম করতে না পারায় কমে গেছে আয়-রোজগার। শহর ও গ্রামের অধিকাংশ মানুষ চুলার আগুন বা খড়কুটে জ্বালিয়ে কোনোরকমে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
জানা গেছে, সরকারিভাবে জেলার ৫ উপজেলার ৪৫ ইউনিয়নের অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে এ পর্যন্ত মাত্র ২৩ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/৫ নভেম্বর ২০১৭/হিমেল