দেশের উন্নত পিঁয়াজ উৎপাদনের জন্য অন্যতম হচ্ছে ফরিদপুর জেলা। দীর্ঘদিন ধরে ফরিদপুর জেলায় পিঁয়াজের আবাদ করছে কৃষকরা। জেলার মধ্যে নগরকান্দা,সালথা ও সদর উপজেলার মমিনখাঁ’র হাট হচ্ছে পিঁয়াজের জন্য বিখ্যাত।
গত বছর পিঁয়াজ আবাদ করে কৃষকেরা লাভবান হয়েছে সবচে বেশী। ফলে ফরিদপুর জেলায় এবছর পিঁয়াজের আবাদ হয়েছে ব্যাপক হারে। দাম ভালো পাওয়ার কারনে নগরকান্দা ও সালথা উপজেলার কৃষকেরা এবার অন্য ফসল বাদ দিয়ে পিঁয়াজের আবাদ করেছে তাদের জমিতে। এ বছর আবহাওয়া পিঁয়াজের জন্য অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলনের আশা করছে চাষীরা।
তবে, পিঁয়াজ আবাদে সার, কিটনাশক, পানি দেবার খরচ বেশী পড়েছে। তাছাড়া কামলার খরচ বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে।
সালথা উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের কৃষক রহিম শেখ, আলেপ বেপারী, সোহরাব শেখ জানান, পিঁয়াজের দাম ভালো থাকায় তারা এবার বেশী জমিতে পিঁয়াজের আবাদ করেছেন। এখন পর্যন্ত যে অবস্থা রয়েছে তাতে প্রাকৃতিক কোন দূর্যোগ না হলে তারা পিঁয়াজ বিক্রি করে বেশ লাভবান হবেন।
সদর উপজেলার মমিনখাঁ’র হাট এলাকার পিঁয়াজ চাষী মমিনুর রহমান জানান, গত বছর মাত্র কয়েক বিঘা জমিতে তিনি পিঁয়াজ লাগিয়েছিলেন। এবছর ১০ বিঘা জমিতে পিঁয়াজ আবাদ করেছেন। বর্তমানে পিঁয়াজের যে দাম রয়েছে তাতে উৎপাদিত পিঁয়াজ বিক্রি করে লাভবান হবার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। বর্তমানে পিঁয়াজ ক্ষেতে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।
ফরিদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় এ বছর ফরিদপুর জেলায় পিঁয়াজ আবাদের পরিমাণ বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রায় ১ হাজার হেক্টর বেশী জমিতে পিঁয়াজের আবাদ হয়েছে। এবছর ফরিদপুর জেলায় পিঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ৬শ ৫০ হেক্টর জমিতে। তবে আবাদ হয়েছে ১১ হাজার হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে প্রতি হেক্টর জমিতে ১২ থেকে ১৩ টন পিঁয়াজ ফলন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কার্তিক চন্দ্র জানান, ফরিদপুর জেলা পিঁয়াজের জন্য বিখ্যাত। তাই এ অঞ্চলের পিঁয়াজ চাষীদের জন্য নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে সরকার। পিঁয়াজ আবাদে চাষীদের উৎসাহিত করতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।
বিডিপ্রতিদিন/ ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮/ ই জাহান