বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার হওয়া লাশটি পার্শ্ববর্তী ইন্দুরকানী উপজেলার কালাইয়া গ্রামের নজরুল ইসলাম হাওলাদারের মেয়ে বেহেস্তী আক্তারের। বেহেস্তী আক্তার ১১নং কালাইয়া বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
নিখোঁজের ৫দিন পরে মোরেলগঞ্জের সন্ন্যাসী গ্রামে পানগুছি নদী সংলগ্ন একটি ডোবায় রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাওয়া যায় তার লাশ। বেহেস্তীর পিতা নজরুল ইসলাম বলেন, গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বেহেস্তী নিখোঁজ হয়। এ সংক্রান্তে ইন্দুরকানী থানায় তার মা রানী বেগম একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।
ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. নাছির উদ্দিন বলেন, বেহেস্তী আক্তার(১২) বিদ্যালয়ে যাওয়ার পরে আর বাড়িতে ফেরেনি এমন তথ্য দিয়ে তার পিতা একটি জিডি করেছেন। আমরা মেয়েটিকে খোঁজ করছিলাম।
আজ রবিবার বাংলাদেশ প্রতিদিনের অনলাইনে ‘মোরেলগঞ্জে ডোবায় অজ্ঞাত নারীর লাশ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে তা নজরে আসে নিখোঁজ বেহেস্তীর পিতা নজরুল ইসলামের। তিনি ছুটে আসেন মোরেলগঞ্জে এবং সনাক্ত করেন মেয়ের লাশ। দুই বোনের মধ্যে বেহেস্তী ছিল ছোট।
মোরেলগঞ্জ থানার এসআই মো. ফারুক বলেন, লাশের পরিচয় মিলেছে। এখন তার মৃত্যুর কারন নির্ণয়ের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পোস্টমর্টেম করানো হবে।
কালাইয়া বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার মন্ডল বলেন, গরীব ঘরের মেয়ে বেহেস্তী খুব একটা মেধাবী ছিলনা, তবে সুশ্রীমান ছিলো।
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর