দুর্গা উৎসবের শেষ মুহূর্তে এসে ব্যস্ত সময় পার করছে শরীয়তপুরের প্রতিমা তৈরির কারিগররা। মন্দিরে মন্দিরে পৌঁছানো হচ্ছে প্রতিমা। শরীয়তপুরে বিপুল উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্যে দিয়ে দুর্গা উৎসব পালন করার লক্ষে কাজ চলছে মন্দিরগুলোতে। ইতিমধ্যেই জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে মন্দিরগুলোতে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়েছেন। প্রায় প্রতিটি মন্দিরকেই রাখা হয়েছে ক্লোস সার্কিট ক্যামেরার আওতায়।
বিভিন্ন মন্দিরগুলোতে প্রস্তুত করা হচ্ছে সনাতন ধর্মলম্বীদের মহাউৎসব শারদীয় দুর্গপূজার কাজ। এক মূহূর্ত সময় নষ্ট করার সুযোগ নেই কারিগরদের। এরই মধ্যে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করেছে অনেকে। এখন চলছে রংতুলির আচরে প্রতিমার সৌন্দর্য বৃদ্ধির কাজ। কাজ শেষ হওয়ায় অনেকেই আবার মন্দিরে মন্দিরে পৌঁছে দিচ্ছে প্রতিমা।মন্দিরগুলিতে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের গেইট ও আলোকশয্যার কাজ।
শরীয়তপুর পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি মুকুল চন্দ্র রায় বলেন, মহিলাদের জন্য পূজা মন্ডপে ঢোকার প্রবেশ পথ আলাদা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য পুলিশের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক দল থাকার কথা জানিয়েছেন তিনি। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জন্য জেনোরেটর রাখা হয়েছে। তবে মন্দিরে নিরাপত্তার বিষয়ে জেলার প্রতিটি মন্দিরকেই ক্লোস সার্কিট ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন বলেন, এবছর ৯২টি পূজামন্ডপের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ৩১টি, অতি গুরুত্বপূর্ণ ৪১টি ও সাধারণ ২০টি পূজা মন্ডপ নির্ধারণ করেছে পুলিশ। ।পূজা নির্বিঘ্ন করতে তিন ধাপে নিরাপত্তার পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যবস্থার কথা জানিয়েছে জেলা পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/৭ অক্টোবর ২০১৮/হিমেল