“ময়লা রাখবো চোখের আড়াল-দেখবো সবাই পরিস্কার সকাল” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে রবিবার সন্ধ্যা থেকে রাতের বেলায় শহর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে বর্জ্য অপসারণ শুরু করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে পৌরবাসীকে সচেতন করতে ক'দিন ধরেই ব্যাপক প্রচারনায় আছে পৌর প্রশাসন। এনিয়ে রবিবার রাতে পৌরসভা অফিস মাঠে হাজারও নাগরিক ডেকে সভা ও রাত্রিকালীন বর্জ্য অপসারণ কাজের উদ্ধোধন করা হয়েছে। পৌরসভার ১৫০ বছর উদযাপনকে সামনে রেখে এ ধরনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে পৌরবাসী।
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, প্রায় লক্ষাধিক জনসংখ্যার প্রাচীনতম এই জনপথে প্রতিদিন ৩০ টনের অধিক বর্জ্য উৎপাদন হয় ।প্রতিদিন ভোর থেকে শুরু করে সারাদিন একদল কর্মী শহরের বর্জ্য ডাম্পিং গ্রাউন্ডে নিয়ে ফেলে আসে। এতে দিনের বেলায় শহরে তীব্র দুর্গন্ধ, যানযট ও পরিবেশের বিপর্যয় সৃষ্টি হয়। যানযটের কারণে শহরের সব স্থানে ময়লা পরিস্কার করাও সম্ভব হয়ে উঠেনা। দূর্গন্ধ ও যানযট থেকে মুক্তি দিতে রাতের বেলায় বর্জ্য পরিস্কার করতে সহযোগীতা চেয়ে পৌর মেয়রের নামে শহরের ব্যাপক মাইকিং, হ্যান্ডবিলসহ নানা প্রচারণা চালানো হয়েছে।
এই কার্যক্রমকে সফল করতে পৌরবাসীর কাছে বেশ কিছু সহযোগীতা চাওয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বসতবাড়ী, অফিস, বাজার ও দোকানপাটের প্রতিদিনের সৃষ্ট বর্জ্য সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১০টার মধ্যে বর্জ্য সংগ্রহকারি বা পৌরসভার নির্দিষ্ঠ স্থানে ফেলতে হবে। বাড়ীর আঙ্গিনা, নগরীর রাস্তা-ঘাট, কোথাও কেউ যেন ইচ্ছামত বর্জ্য ফেলতে না পারে। দিনের বেলায় কোন বর্জ্য রাস্তায় বা এখানে সেখানে না ফেলতে পৌরবাসীকে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।
পৌরসভা রাতে সেবা দিবে এমন খবরে পৌর নাগরিকরা অত্যন্ত আনন্দিত বলে জানিয়েছে অসংখ্য নাগরিক। পৌর মেয়র আলহাজ গোলাম কিবরিয়া লিটন জানিয়েছেন-দুর্গন্ধ মুক্ত শুভ্র সকাল নাগরিকদের উপহার দিতেই এমন আয়োজন। এই কার্যক্রমটি পৌরসভার বয়স ১৫০ বছর উপলক্ষে নেওয়া হলেও ভবিষ্যত ব্যাপি চলতেই থাকবে, আর এর জন্য পৌরবাসিকে আলাদা কোন কর দিতে হবে না।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ