মাত্র ৪ শতক জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে আহত ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঘনি মহেষপুর গ্রামে অনিতা রানী ঘোষ (৩৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল পৌনে ৬ টায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই গৃহবধূ মারা যান।
স্থানীয়রা জানায়, ঘনিমহেশপুর মিশনপাড়া গ্রামের বাবলু ঘোষ ও দিনু ঘোষ নানা মহেন্দ্র নাথের পরিত্যক্ত জমির ওয়ারিশ হিসেবে বসবাস করে আসছিল। মহেন্দ্র নাথের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী সন্ধ্যা রানী ওই জমি চুনিলাল সরকার নামে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করেন। পরে চুনিলালের কাছে ওই জমি কিনে নিয়ে দখলের চেষ্টা চালায় সেলিম উদ্দীন নামে আরেক ব্যক্তি। এ নিয়ে একাধিকবার বিচার শালিসও হয়।
গত সোমবার সকালে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীরের স্ত্রী প্রসাব করতে মিশনের প্রাচীরের কাছে যায়। ওই সময় বাবলু ঘোষের ছেলে অন্তর ঘোষ ঘুম থেকে উঠে মুখ ধুতে যায়। ওই সময় ইউপি সদস্যের স্ত্রীর সঙ্গে তার চোখাচোখি হয়। এ নিয়ে ঝগড়ার সূত্রপাত হয়। ওই দিন সকাল ১০ টার দিকে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর এলে ঝগড়ার গতি বেড়ে যায় এবং উভয়পক্ষ লাঠি নিয়ে প্রতিপক্ষকে মোকাবেলা করার প্রস্তুতি নেয়। এক পর্যায়ে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর লাঠি দিয়ে অনিতার মাথায় আঘাত করে। এতে অনিতা মাটিতে পড়ে গিয়ে অজ্ঞান হয়। পরে প্রতিবেশীরা তাকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ওই গৃহবধূর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোর পৌনে ৬ টায় অনিতা ঘোষ মারা যায়।
এ ব্যাপারে রুহিয়া থানার ওসি প্রদীপ কুমার রায় জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় অনিতা রানীর মৃত্যুর খবর শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে হত্যা মামলা রুজু করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/৭ নভেম্বর ২০১৮/হিমেল