জলবায়ু পরিবর্তনে প্রভাবে খুলনা মহানগরে স্থানান্তরিত অভিবাসী (জলবায়ু উদ্বাস্তু) ও দরিদ্র পরিবারের জীবন-জীবিকার মান উন্নয়নে পরিচালিত প্রকল্প রবিবার পরিদর্শন করেছেন জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেন হোল্টজসহ ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
জার্মান সরকারের অর্থায়নে এই প্রকল্পের আওতায় খুলনার রায়েরমহল এলাকায় ঝুকিপূর্ণ ৫৯টি পরিবারকে ছাগল পালন, বসত ভিটায় সবজি চাষ, ভারমি কমপোষ্ট সার উৎপাদন ও ব্যবসা পরিকল্পনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকার এসব পরিবার বাড়ি-ঘর হারিয়ে শহরে আশ্রয় নিয়েছে। প্রকল্প পরিদর্শনকালে জার্মান রাষ্ট্রদূত সুবিধাভোগীদের সাথে কথা বলেন ও তাদের কর্মসংস্থানের জন্য বিশেষ প্রকল্প গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি বলেন, জার্মানি বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী দেশ। জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদেরকে জার্মান সরকার পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। তাদের জীবিকা উন্নয়নে ছাগল প্রদান ও ব্যবসা পরিকল্পনায় প্রশিক্ষন দেওয়া হয়েছে। আগামীতে সুপেয় পানির ব্যবস্থাসহ তাদের জীবন-জীবিকা উন্নয়নে আরো প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
এসময় খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, ফেডারেল রিপাবলিক অব জার্মান পার্লামেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট, জার্মান পার্লামেন্টের সদস্য ও ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রতিনিধি দলটি জার্মান সরকারের অর্থায়নে এবং খুলনা সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে মহানগরীতে বাস্তবায়িত প্রকল্প জোড়াগেট রিভার সাইড রোড, রূপসা ঘাট ও বাস টার্মিনাল উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন করে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার