ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হয়ে আজমির শরিফে খাজা মইনুদ্দিন চিশতির দরগায় চাদর চড়ালেন দেশটির সংখ্যালঘু মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নাকভি। দেশজুড়ে শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বজায় রাখার বার্তা দিয়ে কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নাকভি’র হাতে তুলে দেওয়া হয় সেই চাদর। টুইট করে মোদি নিজেও বিষয়টি জানিয়েছিলেন।
গতকাল বুধবার দরগায় এসে সেই চাদর চড়ান নাকভি। খাজা মইনুদ্দিন চিশতির ৮০৭তম উরস উৎসব উপলক্ষ্যে ধর্ম নির্বিশেষে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার তীর্থযাত্রী রাজস্থানের আজমিরে জমায়েত হয়েছেন।
পরে টুইট করে নাকভি জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হয়ে আমি এই চাদর চড়ালাম। প্রধানমন্ত্রীর তরফে একটি বার্তাও দেওয়া হয়েছে-যেখানে তিনি খাজা সাহেবের অনুসারীদের শুভেচ্ছা ও অভিবাদন জানিয়েছেন।
টুইটে মোদির পাঠানো শান্তির বার্তাটিও পোস্ট করে নাকভি লেখেন, মানবিক মূল্যবোধ ও ন্যায়বিচার রক্ষায় সুফি মতবাদে প্রধানমন্ত্রী মোদি বিশ্বাসী। অন্যদিকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মোদি হলেন ‘জাতীয়বাদী যোদ্ধা’। সন্ত্রাসবাদ দমন ইস্যুতে তিনি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছেন।’
নাকভি আরও জানান, ভারত সুরক্ষিত হাতেই রয়েছে। মোদি শক্তিশালী ও যোগ্যতম প্রধানমন্ত্রী, তার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশের নিরাপত্তা এবং স্বার্থের বিষয়ে আপোস করবে না।
উল্লেখ্য ভারতের রাজস্থানের রাজধানী জয়পুর থেকে ১৪৫ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে আজমির। শহরের ঠিক মাঝখানে পাঁচিল ঘেরা দরগায় রয়েছে সুফি সাধক মইনুদ্দিন চিশতির মার্বেল মোড়া সমাধি। আর এই সমাধিতে চাদর চড়াতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, শীর্ষ রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক থেকে শুরু করে সেলিব্রিটিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের পেশাজীবীরা ও সাধারণ মানুষ ভিড় জমান চিশতির দরগায়। শুধু মুসলমানই নন, হিন্দুসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও প্রার্থনা জানাতে আসেন এখানে। সমাধির সামনে দাঁড়িয়ে নিজেদের মনের ইচ্ছা পূরণের প্রার্থনা জানান।
প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, ১১৪২ খ্রিষ্টাব্দে ইরানে জন্মগ্রহণ করেন হজরত খাজা মইনুদ্দিন হাসান চিশতি। সুফিবাদের বার্তা গোটা দুনিয়ায় ছড়িয়ে দিতে তিনি তার নিজের দেশ ইরান থেকে অন্য দেশে যাত্রা শুরু করেন। আর ভারতে এসে পাকাপাকিভাবে আজমিরেই থেকে যান তিনি। চলতি বছরই খাজা চিশতির দরগা’র ৮০৭ বছর প্রতিষ্ঠা পূর্ণ করল।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা