ঠাকুরগাঁও চিনি কলের আখচাষীদের ১৩ কোটি টাকা বকেয়া পাওনা পরিশোধের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আব্দুস শাহীসহ কর্মকর্তারা। এ অবস্থায় বকেয়া পাওনা টাকা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন আখ চাষীরা। তারা ইতিমধ্যে বকেয়া পরিশোধের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি, বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে।
প্রতিদিনই ঠাকুরগাঁও চিনিকল কর্তৃপক্ষের নিকট আখ চাষীরা ধরনা দিচ্ছেন। অনেক চাষীর ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে ৬ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চিনি অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যার মূল্য প্রায় ৩৩ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর মিলটি চালু হয়ে আখ মাড়াই শুরু হয়ে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি মিলটি বন্ধ হয়। এর পর থেকেই কর্তৃপক্ষ গা ঢাকা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে আখচাষীরা জানান, পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার ধরনা দিয়েও লাভ হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় ইক্ষু চাষী সমিতির সাধারণ সম্পাদক তোজাম্মেল হক তোজা জানান, সাড়ে ৪ হাজার আখ চাষী তাদের পাওনা টাকা থেকে বঞ্চিত হয়ে অনেক চাষীর ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা কর্তৃপক্ষকে বহুবার জানালেও অদ্যাবধি কোন সুরাহা হয়নি। এ বিষয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুস শাহী জানান, চিনি বিক্রি করতে না পারায় আখ চাষীদের টাকা পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। চিনি বিক্রি হলে তাদের পাওনা টাকা পরিশোধ করা হবে
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা