যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী গ্রামে গণধর্ষণের শিকার দুই তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য আজ সোমবার দুপুরে যশোর মেডিকেলে পাঠিয়েছে পুলিশ। এদিকে, গণধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিত তরুণী রিয়া খাতুন বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছে বেনাপোল পোর্ট থানায়। নির্যাতিত তরুণী রিয়ার বাড়ি কুষ্টিয়া জেলায় ও শাহনাজের বাড়ি চাঁদাপুর জেলায়।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুটখালী গ্রামের ৬ যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্য দালালদের মাধ্যমে দুই তরুণী শনিবার সকালে পুটখালী গ্রামে শাহ আলম বিশ্বাসের বাড়িতে আসে। এরপর রাতে গ্রামের ৯ যুবক তাদেরকে ভারতে পাঠানোর নাম করে বাড়ির পাশে আম বাগানে নিয়ে রাতভর পালাক্রমে গণধর্ষণ করে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি (তদন্ত)আলমগীর হোসেন বলেন, অবৈধপথে ভারত যাওয়ার উদ্দেশ্য আসা দুই তরুণীকে পুটখালী গ্রামের আটককৃত ৬ জনসহ মোট ৯জন ধর্ষক সারারাত পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে। এ খবর জানতে পেরে কৌশলে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় মীমাংসা করার কথা বলে ধর্ষকদের পুটখালী গ্রামের একটি বাড়িতে হাজির করি এবং তাদের আটক করতে সক্ষম হই।একই সাথে ভিকটিম দুই তরুণীকে উদ্ধার করি। রবিবার সন্ধ্যার দিকে তাদের আটক করা হলেও সময় সল্পতার কারণে ভিকটিম দুই তরুণী ও আসামিদের কোর্টে প্রেরণ করা সম্ভব হয়নি।
আজ সোমবার ভিকটিম দুই তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য যশোর মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে এবং আটককৃত আসামিদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এঘটনায় ভিকটিম রিয়া খাতুন বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছে বেনাপোল পোর্ট থানায়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার