বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামে শ্যামলী রানী (১৯) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। স্বামী ও শ্বশুর পরিবারের লোকজন ওই গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ করেছেন নিহত গৃহবধূর বাবা সুনীল বাগানী।
বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল মর্গে প্রেরণ করেছে। শ্যামলীর স্বামী উত্তম বৈদ্য তার ভাই গৌতম বৈদ্য, শ্বশুড় গোবিন্দ বৈদ্য, শ্বাশুড়ি শেফালী রানী পলাতক রয়েছেন।
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিদখালী গ্রামের সুনীল বাগানীর মেয়ে শ্যামলী রানীর সঙ্গে উত্তম বৈদ্যের প্রায় এক বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামীর সঙ্গে শ্যামলীর যৌতুক সহ নানা বিষয় নিয়ে কলহ চলছিল। সুনীল বাগানীর অভিযোগ বুধবার রাতে শ্যামলী ও উত্তমের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে উত্তম সহ তার পরিবারের লোকজনরা শ্যামলীকে বেদম মারধর করলে সে মারা যায়। বিষয়টি আত্মহত্যা বলে প্রচারণার জন্য স্বামী সহ শ্বশুড় পরিবারের লোকজন শ্যামলীর মরদেহ গামছা দিয়ে জানালার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে।
বাকেরগঞ্জ থানার ওসি মো. মাসুদুজ্জামান জানান, শ্যামলীর সঙ্গে স্বামী উত্তর বৈদ্যের কলহ ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন