নাটোরের বড়াইগ্রাম থেকে অপহরণের ৪ দিন পর গাইবান্ধা থেকে একটি শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় ৩ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে নাটোরের ডিবি পুলিশ। অপহৃত সেই শিশুর নাম বাবু আহম্মেদ। সে বড়াইগ্রাম উপজেলার আগ্রান গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। আর ওই তিন অপহরণকারীকে গ্রেফতারের পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে নাটোরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত করা হয়।
নাটোরের পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন জানান, গত প্রায় তিন মাস পূর্বে সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড় এলাকার ইশান আহমেদ সোহাগ নামে এক যুবক নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার আগ্রান গ্রামের সেকেন্দার আলীর স্ত্রী সাহিদা বেগমের সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বড় বোন সম্পর্ক পাতায়। পরে ইশান আহমেদ সোহাগ গত ৫ এপ্রিল সিরাজগঞ্জ থেকে বড়াইগ্রামে আসে এবং সাহিদা বেগমের বাড়ীতে উঠে। এরপর দুই দিন সোহাগ তাদের বাড়ীতে বসবাস করে।
এরপর গত ৭ এপ্রিল সোহাগ সাহিদা বেগমের ছেলেকে পাশের গ্রামে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়ী থেকে বের হয়ে চলে যায়। দীর্ঘ সময় তারা আর ফিরে আসে না। এরপর বিকেলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শিশু বাবু আহম্মেদর পরিবারের কাছে মোবাইল ফোনে তিন লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করা হয়।
বিষয়টি তারা পুলিশকে জানালে নাটোরের ডিবি পুলিশ মোবাইল ফোন ট্যাকিং করে গাইবান্ধা পুলিশের সহযোগীতায় গাইবান্ধার সুন্দর গঞ্জের একটি বাড়ী থেকে অপহত শিশু বাবু আহম্মেদকে উদ্ধার করে এবং অপহরণকারীদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন,সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের রোহাবাড়ী গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে ইশান আহমেদ সোহাগ, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের লালচামার আদর্শ গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ নুরজাহান ও পলাশবাড়অর সাতারপাড়া এলাকার পাপলু ওরফে সুরনের স্ত্রী নার্গিস আক্তার।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর