মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পরিকল্পিতভাবে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সোনাগাজী পৌর কাউন্সিলর মকসুদুল আলম ও তার সহযোগী মো. জাবেদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় কাউন্সিলর মকসুদুল আলমকে ঢাকা এবং তার সহযোগীকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পিবিআইয়ের ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. মনিরুজ্জামান তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন, আটক দুইজনকে ফেনীতে আনা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য গণমাধ্যমকে পরে জানানো হবে।
এ ঘটনায় নুসরাতের ভাই নোমানের দায়ের করা মামলার নামীয় আসামিরা হলেন- অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদদৌলা, পৌর কাউন্সিলর মকসুদুল আলম, প্রভাষক আবছার উদ্দিন, মাদরাসা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শামীম, সাবেক ছাত্র নুর উদ্দিন, জাবেদ হোসেন, জোবায়ের আহম্মদ ও হাফেজ আবদুল কাদের।
এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে এখনও পলাতক রয়েছেন- সোনাগাজী পৌরসভার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের ওই মাদ্রাসার ছাত্র শাহাদাত হোসেন শামিম, হাফেজ আবদুল কাদের ও নুর উদ্দিন।
উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। এসময় কৌশলে তাকে ছাদে নিয়ে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। পাঁচ দিন চিকিৎসাধীন থেকে বুধবার ঢাকা মেডিকেলের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে মারা যান নুসরাত। মৃত্যুর আগে তিনি লাইফসাপোর্টে ছিলেন।
এর আগে ২৭ মার্চ ওই ছাত্রীকে নিজ কক্ষে নিয়ে শ্লীলতাহানি করেন অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা। এ ঘটনায় ছাত্রীর মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। ওই দিনই অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাকে আটক করে পুলিশ। সে ঘটনার পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। এ মামলা প্রত্যাহারের জন্য নুসরাতকে চাপ দিয়ে আসছিলেন অধ্যক্ষের লোকজন। এরই একপর্যায়ে ৬ এপ্রিল মাদ্রাসার ছাদে নিয়ে নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম