সিরাজগঞ্জে আদালতে নির্দেশে দীর্ঘ ৬০ বছর পর পিতা-মাতার পৈত্রিক সম্পত্তি ফিরে পেয়েছেন জহুরা খাতুন ও সূর্য্য বানু নামের দুই বোন।
শনিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার ঘুরকা ইউনিয়নের ঘুরকা নতুন পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সিরাজগঞ্জ জজ কোর্টের নাজির মো. ইসমাইল হোসেন সুকুমার গংদের দখলে থাকা সম্পত্তিগুলো থেকে বাড়ি-ঘরসহ সকল স্থাপনা উচ্ছেদ করে ওয়ারিশন মামলার বাদী মৃত জহুরা খাতুন ও জীবিত সূর্য্য বানু গংদের আত্মীয় স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সলঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান, এ্যাড মোঃ সিরাজুল ইসলাম তরিকুল, এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন, ঘুড়কা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মী।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সলঙ্গা থানার ঘুরকা ইউনিয়নের ঘুরকা নতুন পাড়া গ্রামে মৃত জুরান উদ্দিন সরকারের দুই মেয়ে মৃত জহুরা খাতুন ও জীবিত সূর্য্য বানু গংর পৈত্রিক সম্পত্তি দীর্ঘ ৬০ বছর ধরে ঘুরকা-মৌজা, দাগ নং- ৫৮৩, ১৭৮, ২৭৮, ১৮৮-১৮৯, জমির পরিমাণ ১২০ শতাংশ ফসলী জমি জোরপূর্বক ভোগ দখল ও চাষাবাদ করে আসছে স্থানীয় প্রভাবশালী প্যারিলাল দাসের পুত্র সুকুমার গংরা। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে দরবার হলেও এর কোনো সুরাহা না হওয়ায় ২০০৫ সালে মৃত জুরান উদ্দিন সরকারের মেয়ে জহুরা খাতুন বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ জজ কোর্টে পৈত্রিক সম্পত্তি ভোগ দখল করে আসছে মর্মে স্থানীয় প্রভাবশালী প্যারিলাল দাসের পুত্র সুকুমার গংদের বিরুদ্দে একটি মামলা দায়ের করেন।
যার মামলা নং-১০৪/২০০৫ইং। মামলাটি দীর্ঘদিন চলার পর ২০১৪ সালের ২২ জুন মামলার ডিগ্রি প্রাপ্ত হয়। অতঃপর ডিগ্রি জারি মোকদ্দমা করেন। যার মোকদ্দমা নং-৪/২০১৪ইং। পরবর্তীতে সুকুমার গংরা ঐ জায়গার ভুয়া জাল দলিল করে নিজের জায়গা দাবি করে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর ডিগ্রিজারী মোকদ্দমার বিরুদ্ধে ১৬৩/২০১৫ইং উক্ত মোকদ্দমা ১০/০৪/২০১৮ তারিখে মামলাটি খারিজ হয়।
দীর্ঘ ১৪ বছর আদালতে বিভিন্ন শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ২৭ এপ্রিল আদালত মামলার বাদী জহুরা গংদের পক্ষে রায় দেয়। পরে আদালতের পক্ষ থেকে শনিবার সকালে বাদীকে সরেজমিনে ঘুরকা মৌজা ঘুরকা, দাগ নং- ৫৮৩, ১৭৮, ২৭৮, ১৮৮-১৮৯, জমির পরিমাণ ১২০ শতাংশ দখল বুঝিয়া দেয়া হয়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন