যশোরের শার্শা উপজেলার সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন কায়বার চালতিবাড়িয়া গ্রামে এক মা ও তার দুই শিশু সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা হলেন ওই গ্রামের ইব্রাহিমের স্ত্রী হামিদা খাতুন (৩৪), মেয়ে শরিফা খাতুন (১২) ও ছেলে সোহান হোসেন (৪)। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হামিদা খাতুনের শ্বশুর-শাশুড়িকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনের কারণে কীটনাশক পান করে ছেলে-মেয়েসহ ওই মা আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
মরদেহ তিনটি ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন শার্শা উপজেলা বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর সুকদেব। তিনি বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ আজ (সোমবার) সকালে ওই তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে।কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ টিংকু বলেন, ওই নারীর বাড়ি কায়বা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের কাছেই। বিভিন্ন কারণে শ্বশুর-শাশুড়ি প্রায়ই তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো বলে শোনা যেতো। নির্যাতন থেকে বাঁচতেই সন্তানদের সাথে নিয়ে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/২৭ মে, ২০১৯/মাহবুব